নির্ধারিত সময়ে ফেরা হচ্ছে না নওয়াজ ও মরিয়মের

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও ‘পাকিস্তান মুসলিম লিগের’ (পিএলএল-এন) নেতা নওয়াজ শরিফের পাকিস্তানে পৌঁছাতে বিলম্ব হবে। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, তিনি আবুধাবিতে ছিলেন। শুক্রবার লন্ডন থেকে তিনি যাত্রা শুরু করেন। যে বিমানে তাদের পাকিস্তানে যাওয়ার কথা ছিল তার অবতরণ করার কথা পাকিস্তানের স্থানীয় সময় ৬.১৫ মিনিটে। কিন্তু ওই সময়ে বিমানটি অবতরণ করতে পারবে না। পাকিস্তানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছে, নওয়াজ ও তার মেয়ে মরিয়মকে লাহোর বিমানবন্দরে পৌঁছানো মাত্রই গ্রেফতার করার কথা। আল্লামা ইকবাল বিমান বন্দর থেকে তাদের নিয়ে যাওয়া হবে ইসলামাবাদ এবং তারপর আদিয়ালা জেলে।1755121-nawazmaryamx-1531295353-750-640x480

নওয়াজ শরিফের একটি ভিডিওবার্তা টুইটারে পোস্ট করেছেন মরিয়ম। ভিডিওবার্তায় বিমান বন্দরে উপস্থিত হয়ে তার প্রতি প্রকাশ্য সমর্থন প্রদর্শনের জন্য নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন নওয়াজ। তিনি বলেছেন, ‘দেশের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য (সমর্থকদের) সোচ্চার হওয়া দরকার। দেশ এখন খুব বিপদজনক অবস্থায় রয়েছে। আমার পক্ষে যা করার ছিল তা আমি করেছি। আমি জানি আমাকে ১০ বছরে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে এবং আমাকে সরাসরি জেলে নিয়ে যাওয়া হবে। আমি দেশবাসীকে জানাতে চাই, আমি দেশের জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ লন্ডন ত্যাগের আগে কুলসুম নওয়াজকে দেখতে যাওয়ার ছবি পোস্ট করেছেন মরিয়ম। কুলসুম নওয়াজ একটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তিনি কোমায়।

৬ জুলাই পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ, তার মেয়ে মরিয়ম ও মেয়ে-জামাই ক্যাপ্টেন সফদরের বিরুদ্ধে রায় ঘোষিত হয়। দুর্নীতির দায়ে নওয়াজকে ১০ বছরের ও তার মেয়ে মরিয়মকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মরিয়মের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি তার বাবার ঘোষিত আয় বহির্ভূত সম্পদ গোপনে সহায়তা ও দুর্নীতির তদন্তে অসহযোগিতা করেছেন। আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, মরিয়ম ট্রাস্টের যে কাগজপত্র দেখিয়েছিলেন তাও ভুয়া। এতে তার সাজা হয়েছে আরও ১ বছর। তবে এই দুই কারাদণ্ড একই সঙ্গে কার্যকর করা হবে।

রায় ঘোষণার পরেই ছেলেমেয়েদের সঙ্গে লন্ডনে থাকা নওয়াজ বলেছিলেন, ‘ভোটের সম্মান রক্ষায়’ তিনি পাকিস্তানে ফিরে যাবেন। লন্ডনে অনুষ্ঠিত এক দলীয় সভায় নওয়াজ বলেছিলেন, ‘চোখের সামনে জেলখানাকে দেখতে পেলেও’ তিনি দেশে ফিরে যাওয়ার বিষয়ে মনস্থির করেছেন। ফেসবুকে সরাসরি সম্প্রচারিত সংবাদ সম্মেলনে নওয়াজ বলেছিলেন, পাকিস্তানে কি আর এমন কেউ আছে যার পরিবারের তিন প্রজন্মকে তদন্তের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে এটা প্রমাণ করার জন্য যে কোনও দুর্নীতি হয়নি? মরিয়মের ৭ বছরের কারাদণ্ড হওয়ায় আদালতের সমালোচনা করে নওয়াজ শরিফ বলেছেন, যারা মরিয়মকে ৭ বছরের জেল দিয়েছে ‘ঘৃনার প্রাবল্যে তাদের স্মরণ নেই, পাকিস্তানে কন্যাদের কি মর্যাদা দেওয়া হয়।’