রাজনীতিক নয়, মাফিয়াদের বিরুদ্ধে লড়ছি: ইমরান খান

‘পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ’ (পিটিআই) দলের নেতা ইমরান খান করাচিতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ভোটাররা যেন প্রার্থী নয়, দলীয় আদর্শ বিবেচনা করে পিটিআইকে ভোট দেন। এ সময় তিনি স্বীকার করে নেন, সিন্ধ প্রদেশে পিটিআই প্রার্থীরা শক্তিশালী নন। তাকে রাজনীতিবিদদের সঙ্গে লড়তে হচ্ছে না, যুঝতে হচ্ছে মাফিয়াদের বিরুদ্ধে দাবি করে ইমরান খান ‘পাকিস্তান পিপলস পার্টির’ (পিপিপি) আসিফ আলি জারদারিকে মাফিয়া আখ্যা দেন। পাকিস্তানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, ২৫ জুলাই অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন উপলক্ষে ইমরান খান সিন্ধ প্রদেশের করাচিতে আয়োজিত এক জনসভায় এসব কথা বলেন।pti-jalsa-in-karachi-july-22-2018-athar-khan-11-1532293780

রবিবার করাচীর বাগ-ই-জিন্নাহতে আয়োজিত সমাবেশে পাঁচ লাখ মানুষের উপস্থিতি হয়েছে দাবি করে সন্তোষ প্রকাশ করেন পিটিআই’র মুখপাত্র ইমরান ইসমাইল। দলের প্রেসিডেন্ট ইমরান খান স্টেজে উঠে তার বক্তব্যের শুরুতে পিটিআই প্রার্থী ইকরামুল্লাহ খানের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন। রবিবার দেরা ইসমাইল খান এলাকায় তার গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালানো হয়েছিল। এতে তিনি গুরুতর আহত হয়েছিলেন। পরে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

ইমরান খান  তার দেওয়া ভাষণে বলেছেন, সিন্ধ প্রদেশে পিটিআইয়ের পক্ষ থেকে প্রার্থী হওয়া ব্যক্তিরা শক্তিশালী না হলেও ভোটাররা যেন আদর্শের কথা ভেবে পিটিআইকে ভোট দেন। ইমরান খানের দাবি, পাকিস্তান পিপলস পার্টির  (পিপিপি) নেতা  আসিফ আলি জারদারি মাফিয়াদের সঙ্গে তুল্য। বিলাওয়াল ভুট্টো বাড়ির চারপাশের জমি দখল করে নিয়েছেন। আর ‘পাকিস্তান মুসলিম লীগ’ (পিএমএল-এন) পাঞ্জাব দখল করে রেখেছে। সম্প্রতি দলটির নেতা নওয়াজ শরিফ ও তার পরিবারের সদস্যদের দুর্নীতির দায়ে আদিয়ালা কারাগারে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে ইমারন খান উপস্থিত জনতার উদ্দেশে বলেছেন, দুর্নীতিবাজদের রাখার জন্য আদিয়ালা কারাগারে নতুন প্রকোষ্ঠ নির্মাণ করা হচ্ছে। তিনি নওয়াজ শরিফ ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের অর্থ লোপাট করে বিদেশে গচ্ছিত রাখার অভিযোগ তুলে তাদের সমালোচনা করেন।

pti-jalsa-in-karachi-july-22-2018-athar-khan-7-1532293720পাকিস্তান জঙ্গিবাদে নিমজ্জিত হয়ে গেছে, কারণ বিদেশি শক্তি পাকিস্তানে রয়েছে, ইমরান খান তার সেই বক্তব্যই আবার হাজির করেছেন করাচির সমাবেশে। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, ‘আমরা যদি নির্বাচিত হই তাহলে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রনীতি শুধু পাকিস্তানের জনগণের কল্যাণের কথা মাথায় রেখেই প্রণীত হবে; অন্য কোনও দেশের লাভের জন্য নয়।’
এ সময় তিনি দাবি করেন, তার দলের জনপ্রিয়তার পেছনে সেনাবাহিনীর কোনও ভূমিকা নেই। সেনাবাহিনী তাকে সহায়তা করছে, এ ধরনের প্রচারণা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ও ক্ষমতাচক্রের ষড়যন্ত্রের ফল। তার ভাষ্য, ‘গত নির্বাচনে যারা ভোট জালিয়াতি করে পিটিআইকে হারিয়ে দিয়েছিল, এবার তারাই সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ করছে।’