অর্থনৈতিক করিডোরের বিরোধিতাকারীরা সফল হবে না: শি জিনপিং

চীন সফররত পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল কামার বাজওয়াকে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, যারা চীনের গ্রহণ করা ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ (বিআরআই) ও ‘চায়না–পাকিস্তান ইকনোমিক করিডোরের’ (সিপিএসি) মতো প্রকল্পের বিরোধিতা করছে, তারা কখনও জয়ী হবে না। এই প্রকল্পগুলো শান্তি ও উন্নয়ন নিশ্চিতের জন্য প্রণীত। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি লিখেছে, ভারতই চীন-পাকিস্তানের ইকোনমিক করিডোরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে। কারণ, করিডোরের পরিকল্পনায় দেখানো হয়েছে, সেটি পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের ওপর দিয়ে যাবে।

5ba2c06ed5e37

শি জিনপিংয়ের নেওয়া বিশেষ অর্থনৈতিক পরিকল্পনার একটি বিআরই। এরই একটি অংশ সিপিইসি। চায়না-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোরের বাজেট পাঁচ হাজার কোটি ডলার। শি জিনপিং নিজে এ বিষয়ে মন্তব্য করেছেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে তা শুধু সংশ্লিষ্ট দেশ নয়, বরং তার বাইরেও সুফল বয়ে আনবে। এনডিটিভি এ বিষয়েই মন্তব্য করেছে, বিআরইর মতো প্রকল্প বাস্তবায়ন করে চীন আসলে বিশ্বজুড়ে তার প্রভাব বিস্তার করতে চায়।

জেনারেল কামার বাজওয়ার সঙ্গে শি জিনপিংয়ের বৈঠক হয়েছে চীনে। শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর বাজওয়া চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে বলেছেন, ‘আমরা শান্তির পক্ষে কাজ করছি। তবে আমাদের উচিত হবে শত্রুভাবাপন্ন সব পক্ষের কূটচালের বিরুদ্ধে দৃঢ় হয়ে থাকা।’ পাকিস্তানের ইন্টার সার্ভিস ইন্টেলিজেন্সের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিশেষ আমন্ত্রণে আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনার জন্য জেনারেল কামার বাজওয়া চীনে গিয়েছিলেন।

শি জিনপিং পাকিস্তানকে ‘সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ লৌহ-কঠিন বন্ধু’ আখ্যা দিয়ে বলেছেন, পাকিস্তানকে অনেক বড় ভূমিকা পালন করতে হবে চীনের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে। তিনি এ সময় আঞ্চলিক শান্তি নিশ্চিতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রশংসা করেন। কৌশলগত মিত্র হিসেবে পাকিস্তানের প্রতি সহায়তা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।

কিন্তু এনডিটিভি লিখেছে, মূলত সিপিইসি নিয়ে দ্বিমত দেখা দেওয়াতেই জেনারেল বাজওয়া চীন সফর করেছেন। সেখানে গিয়ে তিনি চীনের নেতাদের আশ্বস্ত করেছেন, নবনির্বাচিত পাকিস্তান সরকার চীনের পরিকল্পনার বিষয়ে দেশটির সেনাবাহিনীর মতো একইরকম আশাবাদী।