জম্মুতে বিজেপি নেতাকে হত্যা, কার্ফিউ জারি

বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) ভারতের জম্মুতে প্রদেশ বিজেপির সাধারণ সম্পাদক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বাড়িতে ফেরার পথে আততায়ীর গুলিতে তিনি প্রাণ হারান। দেহরক্ষী দেওয়া হলেও ওই রাতে তারা তার সঙ্গে ছিল না। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে,  ঘটনাস্থল জম্মুর কিশওয়ার জেলায় কার্ফিউ ডাকা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট এলাকায় দেশটির সেনাবাহিনী নিয়মিত টহল দিয়ে যাচ্ছে।_7a14c876-de46-11e8-a68b-5bb9980ab23e

নিহতের নাম অনিল পারিহার (৫২)। আততায়ীর গুলিতে যখন তিনি নিহত হন তখন তার সঙ্গে তার বড় ভাইও ছিলেন।  তার নাম অজিত পারিহার (৫৫)। দুর্বৃত্তরা তাকেও হত্যা করে। অনিল পারিহার প্রদেশ বিজেপির সাধারণ সম্পাদক। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ফেরার পথে বাড়ির কাছের রাস্তায় তারা আক্রান্ত হন।

কিশওয়ার জেলার ডিসি আংরেজ সিং রানা জানিয়েছেন, কিশওয়ারের কার্ফিউয়ের সঙ্গে ছাত্রু ও পাদ্দের সাব-ডিভিশনে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। তার ভাষ্য, ‘সৎকার করার সময়ও কার্ফিউ জারি থাকবে। শুধুমাত্র পরিবারের অল্প কিছু সদস্য তার সৎকারে যেতে পারবেন।’ পার্শ্ববর্তী ডোডা জেলাত ভাদেরওয়াহ শহরেও ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে পরিস্থিতির স্পর্শকাতরতাকে বিবেচনায়। জেলার পুলিশ প্রধান শাবির মালিক জানিয়েছেন, ‘ভাদেরওয়াহতে সহিংসতার কোনও ঘটনার কথা জানা যায়নি। পরিস্থিতি শান্ত কিন্তু উত্তেজনা রয়েছে মানুষের মধ্যে। পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা রয়েছে যথেষ্ঠ সংখ্যায়।’

এ হত্যাকাণ্ডের পর জম্মু, সাম্বা, কাঠুয়া, রাজৌরি এবং পুচ অঞ্চলে ইন্টারনেটের গতি কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, যাতে গুজব ছড়ানো সহজ না হয়। হত্যাকাণ্ডের কারণ হিসেবে জঙ্গিবাদ থেকে থেকে শুরু করে অন্যান্য সব সম্ভাবনাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে উল্লেখ করে জম্মু ও কাশ্মিরের পুলিশ প্রধান এসডিএস জামাল মন্তব্য করেছেন, ‘বেজেপির নিহত ব্যক্তির জন্য আগে থেকেই নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু কেন তারা ওই রাতে তার সঙ্গে ছিল না? তাদেরকে কি বিজেপি নেতা ছুটিতে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন? আমরা সব সম্ভাবনা মাথায় রেখেই কাজ করছি।’

এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেকজন পুলিশ কর্মকর্তা মন্তব্য করেছেন, ‘নিশ্চিতভাবেই বিজেপি নেতা ও তার ভাইয়ের হত্যার পেছনে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা জড়িত। তারা সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা তৈরি করতে চায়। গত এক মাসের মধ্যে রাজনীতিবিদদের ওপর হওয়া এটি তৃতীয় হামলা। এর আগে ন্যাশনাল কনফারেন্স নামক দলের দুইজন ও পিডিপি দলের একজন নেতাকে হত্যা করা হয়েছে শ্রীনগরে।’