বিদেশিদের নৌ ঘাঁটি করতে দেওয়া হবে না: কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী

কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হান সেন সোমবার (১৯ নভেম্বর) বলেছেন, দেশটিতে বিদেশি কোনও দেশের সেনাবাহিনীর জন্য ঘাঁটি নির্মাণের সুযোগ দেওয়া হবে না। কম্বোডিয়ায় চীন একটি নৌঘাঁটি নির্মাণ করতে যাচ্ছে, এমন আলোচনার সূত্র ধরে হান সেন এ বক্তব্য দিয়েছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, চীন তার ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ এবং দ্বিপাক্ষিক চুক্তির আওতায় কম্বোডিয়ায় শত শত কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে। কম্বোডিয়া তার ঘনিষ্ঠ মিত্র।হান সেন

সংবাদমাধ্যম এশিয়া টাইমস নাম প্রকাশে অনিসচ্ছুক সূত্রের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। তাতে বলা হয়েছিল, কম্বোডিয়ার কোহ কোং প্রদেশে নৌ ঘাঁটি নির্মাণে চীন ২০১৭ সাল থেকে চেষ্টা চালাচ্ছে। ঘাঁটিটি নির্মাণ সম্ভব হলে সেখানে চীনা ফ্রিগেট ও ডেস্ট্রয়ারের মোতায়েন করা হবে।

কম্বোডিয়ার তথ্যমন্ত্রী খেউ কানহারিথ ফেসবুকে লিখেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী হান সেন মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে এ সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন। তার ভাষ্য, ‘বিদেশি সেনাবাহিনীকে সামরিক ঘাঁটি বানাতে দিয়ে কম্বোডিয়ার কি সংবিধানকে অমান্য করার কোনও প্রয়োজন আছে? কার সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য কম্বোডিয়ার বিদেশি সেনাদের সহায়তা প্রয়োজন? আমি চাই না অতীতের মতো বিদেশিরা কম্বোডিয়ার মাটিতে থেকে যুদ্ধ চালাক। আর নতুন কোনও আদর্শ বা অস্ত্রের পরীক্ষার জায়গাও নয় কম্বোডিয়া।’

রয়টার্স লিখেছে, যে নৌ ঘাঁটিটি নির্মাণের প্রসঙ্গে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা নির্মাণ করতে চাইছে চীনের তিয়ানজিন ইউনিয়ন ডেভেলপমেন্ট গ্রুপ (ইউডিজি)। ৯৯ বছরের জন্য পাওয়া ৪৫ হাজার হেক্টর জমিতে প্রতিষ্ঠানটি ২০০৮ সাল থেকে কাজ শুরু করেছে। ৩৮০ কোটি ডলারের প্রকল্পটির অগ্রগতির বিষয়ে তেমন কিছু জানতে পাওয়া যায় না। শুধু বন্দরের জন্যই ইউডিজির সাড়ে চার কোটি ডলার খরচ করার কথা। ওই বন্দরকেই নৌ ঘাঁটি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে এশিয়া টাইমসের প্রতিবেদনে।

এদিকে কম্বোডিয়াভিত্তিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান সাওয়াক দাবি করেছে, প্রকল্পটি শেষ হলে ২০ হাজার টন মালামাল জাহাজ থেকে ওঠানো-নামানো করা যাবে। গত জুন মাসেও প্রকল্পটিকে অসমাপ্ত অবস্থাতে দেখা গেছে। স্থানটি পাহারা দেয় কম্বোডিয়ার সেনাবাহিনী।