মিয়ানমারে ঢুকতে পারছেন না জাতিসংঘের বিশেষ দূত

জাতিসংঘের মিয়ানমার বিষয়ক স্পেশাল র‍্যাপোর্টিয়ার ইয়াংহি লিকে দেশটিতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেনি দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সোমবার মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তারা জানিয়েছেন, সম্প্রতি মিয়ানমারে প্রবেশের অনুমতির জন্য তিনি আবেদন করলেও সরকার তা প্রত্যাখ্যান করেছে। মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম মিয়ানমার টাইমস এখবর জানিয়েছে।

ইয়াংহি লি

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ইয়াংহি লি বর্তমানে থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশ সফর করছেন। ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি এই সফর অব্যাহত রাখবেন মিয়ানমারের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য।

রবিবার তার থাইল্যান্ড পৌঁছার কথা। সেখান থেকে শনিবার বাংলাদেশ আসবেন। ঢাকায় পৌঁছে তিনি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করবেন। এছাড়া ভাসান চর দ্বীপও সফর করতে পারেন তিনি।

২০১৭ সালের ডিসেম্বর থেকে ইয়াংহি লির প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে মিয়ানমার। দেশটির দাবি, স্থানীয় বাসিন্দা ও এনজিওগুলো অভিযোগ করেছে মিয়ানমারের মানবাধিকার পরিস্থিতি তার পর্যালোচনাকে পক্ষপাতমূলক। এজন্য মিয়ানমারের তার প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের কাছে তার বদলে অন্য কাউকে নিয়োগ দেওয়া আহ্বান জানিয়েছে দেশটি।

এক বিবৃতিতে ইয়াংহি লি বলেন, আমি মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে কাজ করতে চাই। মিয়ানমারের মানবাধিকার ইস্যু পর্যালোচনায় আমি প্রতিশ্রুতি বদ্ধ। আমি মিয়ানমারের জনগণের সঙ্গে কথা বলা এবং দেশটির মানবাধিকার ইস্যু নিয়ে সরব হওয়া অব্যাহত রাখব।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-স্থায়ী সচিব ইউ অং কিয়াউ জান জানান, স্থানীয় জনগণের প্রতি শত্রুভাবাপন্ন মনোভাবে কারণে সরকার ইয়াংহি লিকে মিয়ানমার সফরের অনুমতি দেবে না।

এই কর্মকর্তা লি’র বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনেরও অভিযোগ এনেছেন।

মিয়ানমারের মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার্স অ্যান্ড প্রমোটার্স-এর পরিচালক ইউ অং জাউ অয়ো বলেন, সরকারকে সহিষ্ণু হতে হবে এবং ইয়াংহি লিকে তার কাজ করতে দেওয়া উচিত।