চীন বিরোধী মিছিল করায় কিরগিজিস্তানে পুলিশের ধরপাকড়

কিরগিজিস্তানে চীনের প্রভাব বৃদ্ধির প্রবাদে আহুত মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে দেশটির পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৭ জানুয়ারি) রাজধানী বিশকেকের এই মিছিলে যোগ দেওয়া প্রতিবাদকারীদের মধ্যে ডজনেরও বেশি ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, মধ্য এশিয়ায় চীনের প্রভাব বৃদ্ধির প্রতিবাদে হওয়া আয়োজনগুলোর মধ্যে কিরগিজিস্তানের এই মিছিলটি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড়।s2.reutersmedia.net

সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ কিরগিজিস্তানে চীন বিরোধী মনোভাব দিন দিন বাড়ছে। ৬০ লাখ জনসংখ্যার দেশটির রাজধানী বিশকেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা উৎপাদন কেন্দ্রেটি পাঁচ দিন ধরে বন্ধ থাকার প্রেক্ষিতে এ মনোভাব তীব্রতর হয়ে ওঠে। বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটি সংস্কারের জন্য কাজ করছিল চীনা প্রতিষ্ঠান। ব্যার্থতার পরও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে কোনও আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনা হয়নি। তাছাড়া চীনের শিনজংয়ে ইউঘুর ও কাজাখ বংশোদ্ভূতদের পাশাপাশি কিরগিজ বংশোদ্ভূতদের গণহারে আটকের ঘটনায় কিরগিজিস্তানের বাসিন্দাদের মধ্যে চীন বিরোধী মনোভাব প্রবল হয়ে উঠেছে।

কিরগিজিস্তানে চীন বিরোধী মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের দাবি ছিল, দেশটি থেকে চীনা প্রভাব হ্রাসের। চীনা নাগরিকদের কাজের অনুমতি দেওয়ার সংখ্যা ও চীনা ঋণের পরিমাণ কমানোর দাবির পাশাপাশি তার বলেছে, চীনা ও কিরগিজ নাগরিকদের মধ্যে হওয়া বিয়েও নিষিদ্ধ করতে হবে। মিছিলটি যে সময় পর্যন্ত হওয়ার কথা ছিল, সে সময় অতিক্রান্তের পর প্রতিবাদকারীদের কেউ কেউ সরকারি ভবনের দিকে অগ্রসর হলে কিরগিজ পুলিশ হস্তক্ষেপ করে এবং আন্দোলনকারীদের কয়েকজনকে আটক করে।

মধ্য এশিয়ার দেশগুলোর জন্য চীন সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারীদের একটি। দেশগুলোর বাণিজ্যিক বড় সহযোগীদের মধ্যেও প্রধান উৎস চীন। ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য অঞ্চলটি চীনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আন্দোলনকারীদের বিষয়ে কিরগিজিস্তানের ফার্স্ট ডেপুটি প্রাইম মিনিস্টার কুবাতবেক বোরোনেভ মন্তব্য করেছেন, আন্দোলনকারীরা ভুল তথ্যের ওপর ভিত্তি করে আন্দোলন করছে। গত দুই বছর ধরে চীন থেকে কিরগিজিস্তানে যাওয়া চীনাদের সংখ্যা এক হাজার জনেরও কম।