পারলেন না রাজকন্যা উবলরত্ন

থাইল্যান্ডের রাজার বোনকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের বৈধ প্রার্থীর তালিকায় রাখেনি দেশটির নির্বাচন কমিশন। এতে চূড়ান্তভাবে নিশ্চিত হয়ে গেল, রাজকন্যা উবলরত্ন শেষ পর্যন্ত পারছেন না রাজনীতিতে পা রাখতে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান লিখেছে, থাইল্যান্ডের নির্বাচন কমিশন সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বৈধ প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশের সময় রাজার বক্তব্যেরই প্রতিধ্বনি করেছে। তাদের ভাষ্য, রাজপরিবারের সদস্যদের ‘রাজনীতির ঊর্ধ্বে’ থাকতে হবে।6a46b7dec13a0699934ad9a5f1a968b0-5c5e3ce141889
প্রিন্সেস উবলরত্ন রাজকন্যা সিরিবাধনা ভারনাভাদি (৬৭) থাইল্যান্ডের বর্তমান রাজা মহা ভাজিরালংকর্নের বোন ও সাবেক রাজা ভূমিবলের বড় মেয়ে। ১৯৭২ সালে এক বিদেশিকে বিয়ের সূত্রে রাজমর্যাদা হারান তিনি। তবে এখনও তাকে রাজপরিবারের সদস্য হিসেবেই বিবেচনা করা হয়। দেশটির ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার দল থাই রাকসা চার্ট পার্টির পক্ষ থেকে উবোলরত্না প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। দলটিও তাকে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেয়। কিন্তু বাধ সাধেন উবলরত্নের ভাই বর্তমান রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন। তিনি বোনের এই রাজনৈতিক বাসনাকে ‘অযথার্থ’ আখ্যা দেন।
পরবর্তীতে প্রিন্সেস উবলরত্ন (৬৭) নিজের রাজমর্যাদা না থাকার কথা উল্লেখ করেন। কিন্তু রাজপ্রাসাদের পক্ষ থেকে তারপরও আপত্তি প্রত্যাহার করা হয়নি। এমন কি সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলটিকে নিষিদ্ধ করার বিষয়েও আলোচনা শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত সোমবার থাইল্যান্ডের নির্বাচন কমিশন নিশ্চিত করে, উবলরত্ন প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হতে পারছেন না।
নির্বাচন কমিশন বৈধ প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশের পর এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘যেহেতু রাজপরিবারের সব সদস্যের ক্ষেত্রেই রাজনৈতিক নিরপেক্ষতার শর্ত প্রযোজ্য’ সেহেতু উবলরত্নের প্রার্থিতা বৈধ নয়। তবে সোমবার থাই রাকসা চার্ট পার্টিকে অবৈধ ঘোষণার আবেদনের বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি দেশটির নির্বাচন কমিশন।
গার্ডিয়ান লিখেছে, থাইল্যান্ডে ১৯৩২ সাল থেকে সাংবিধানিক রাজতন্ত্র রয়েছে। রাজপরিবারের হাতে সরকার চালানোর ক্ষমতা না থাকলেও দেশটির বিপুল সংখ্যক মানুষ এখনও রাজপরিবারের প্রতি সমীহ পোষণ করে। ফলে জনগণের ওপর তাদের এখনও অনেক প্রভাব।