অত্যাধুনিক এফ ৩৫ যুদ্ধবিমান পেলো দক্ষিণ কোরিয়া

দক্ষিণ কোরিয়াকে অত্যাধুনিক দুটি এফ ৩৫ যুদ্ধবিমান সরবরাহ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৯ সালের মধ্যে দেশটিকে ১০টি এফ ৩৫ সরবরাহের কথা রয়েছে ওয়াশিংটনের। এর অংশ হিসেবেই এগুলো সরবরাহ করা হয়েছে। শুক্রবার বিমান দুটি দক্ষিণ কোরিয়ায় পৌঁছেছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে শনিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে তুরস্কভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি।এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান আগামী মাসে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এই দুই যুদ্ধবিমান জনগণের সামনে উন্মোচন করবে দক্ষিণ কোরিয়া।
দক্ষিণ কোরীয় সংবাদমাধ্যম ইয়োনহ্যাপ জানিয়েছে, রাজধানী সিউলের প্রায়১৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে চেঙ্গুজুর একটি বিমান ঘাঁটি থেকে অত্যাধুনিক এই দুই যুদ্ধবিমান গ্রহণ করে দক্ষিণ কোরিয়ার বিমান বাহিনী। বাকি আটটিও এ বছরের মধ্যেই সরবরাহ করা হবে।
২০১৪ সালের এক চুক্তি অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে এসব এফ ৩৫ যুদ্ধবিমান কিনছে সিউল। চুক্তি অনুযায়ী, ২০২১ সালের মধ্যে দেশটিকে ৪০টি এফ ৩৫ সরবরাহ করবে ওয়াশিংটন। এজন্য ইতোমধ্যেই ৬ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করা হয়েছে।
এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার চির প্রতিদ্বন্দ্বী উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া ছবি বিশ্লেষণ করেই এমন আশঙ্কা করছেন তারা। শঙ্কা বৃদ্ধির কারণ, সানুমডং নামের সংশ্লিষ্ট স্থানটিতে আগে থেকেই উত্তর কোরিয়ার ব্যালিস্টিক মিসাইল মোতায়েন করা রয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পিয়ংইয়ং-এর এমন প্রস্তুতিকে হতাশাজনক হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
উত্তর কোরিয়া যাতে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র গবেষণা পরিহার করে তা নিশ্চিতে যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে উত্তর কোরিয়ার ওপর চাপ দিয়ে আসছে। দেশটির ওপর দীর্ঘদিন ধরে বলবৎ রয়েছে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য ২০১৮ সালের জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন সিঙ্গাপুরে এক ঐতিহাসিক সম্মেলনে মিলিত হন। সেখানে চূড়ান্ত কোনও সমঝোতা না হলেও দুই পক্ষ আবারও মিলত হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন। এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ভিয়েতনামের হ্যানয়ে অনুষ্ঠিত হয় ট্রাম্প-কিম দ্বিতীয় সম্মেলন। কিন্তু সেখান থেকেও সুনির্দিষ্ট কোনও ঘোষণা আসেনি। এর মধ্যেই শুক্রবার উত্তর কোরিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বী দক্ষিণ কোরিয়াকে দুইটি অত্যাধুনিক এফ ৩৫ যুদ্ধবিমান সরবরাহ করলো যুক্তরাষ্ট্র।