ধর্ম অবমাননার অভিযোগে পাকিস্তানে হিন্দু অধ্যক্ষ আটক, মন্দির-স্কুলে হামলা

পাকিস্তানে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে একটি স্কুলের হিন্দু অধ্যক্ষকে আটক করা হয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর ঘোটকি থেকে তাকে আটক করা হয়। স্কুলের এক শিক্ষার্থী ওই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ আনার পর সেখানে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার পর তাকে আটক করা হয়। পুলিশ কর্মকর্তা ও হিন্দু সম্প্রদায়ের বরাত দিয়ে এখবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

eebbdb9d9e524365824752ac8e157167_18

রাজধানী করাচি থেকে ৪২৫ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত বেসরকারি স্কুলটির মালিক ও অধ্যক্ষ নতন লাল। রবিবার তাকে প্রটেক্টিভ কাস্টডিতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা ফারুক লানজার। তিনি বলেন, পুরো ঘটনায় তার ভূমিকা আমরা খতিয়ে দেখছি। অভিযোগকারী শিক্ষার্থীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তদন্ত চলমান।

স্থানীয় হিন্দুরা জানায়, রবিবার একদল উত্তেজিত জনতা একটি মন্দিরে হামলা চালায়। এতে মন্দিরটি বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মুখি কিকা রাম নামের একজন বলেন, মন্দিরের তারা ভাঙচুর চালিয়েছে। মূর্তিসহ অনেক কিছু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মন্দির ছাড়াও বেশ কিছু দোকান ও বাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়।

পাকিস্তানে ধর্ম অবমাননার বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। ১৯৯০ সাল থেকে এই অপরাধের অভিযোগে অন্তত ৭৫জনকে হত্যা করা হয়েছে এবং অন্তত ৪০ জন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করছেন।  

পুলিশ জানায়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রবিবার শহরটিতে অতিরক্তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মন্দিরে হামলার জন্যও একটি ধর্ম অবমাননার মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তা ফারুক লানজার বলেন, আমরা সংখ্যালঘু ও তাদের ধর্মী স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাই। আমরা সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছি।

বিক্ষোভ ও সহিংসতার অবসান ঘটাতে ওই দিনই সরকারি কর্মকর্তা স্থানীয় ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলে জানিয়েছেন প্রদেশটির তথ্যমন্ত্রী সাঈদ ঘানি।

আরেক পুলিশ কর্মকর্তা জামিল আহমেদ বলেন, ঘটনায় জড়িত সবাইকে ঘিরেই তদন্ত হচ্ছে। কিন্তু পরিস্থিতি খুব উত্তপ্ত। আমরা পরিস্থিতি শান্ত রাখতে চাই। রবিবার রাতে মুসলিম নেতারা মন্দির পাহারা দিয়েছেন হিন্দু নাগরিকদের প্রতি সংহতি জানিয়ে।