সিউলের নিখোঁজ মেয়রের মরদেহ উদ্ধার

দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের মেয়র পার্ক ওন-সুনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন। পরে শহরের উত্তরাঞ্চলের মাউন্ট বোগাক এলাকায় তার মরদেহ পাওয়া যায়। সেখানেই সর্বশেষ তার ফোনের সিগন্যাল পাওয়া গিয়েছিল। তার মৃত্যুর কোনও কারণ এখন পর্যন্ত জানানো হয়নি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এখবর জানিয়েছে।

_113308899_mediaitem113308898

পার্ক ওন-সুনের মেয়ে পুলিশকে জানিয়েছিলেন, তার বাবা বাসা থেকে বের হওয়ার আগে একটি মেসেজ রেখে গেছেন। তার মেয়ে পুলিশকে জানানোর পরই পার্কের নিখোঁজের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।

খবরে বলা হয়েছে, পার্ক নিখোঁজ হওয়ার ঘণ্টাখানেক আগে তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলেন এক নারী কর্মকর্তা। কিন্তু এই বিষয়টি তার মৃত্যুর সঙ্গে সম্পৃক্ত কিনা– তা নিশ্চিত নয়।

বার্তা সংস্থা এপিকে সিউল মহানগর প্রশাসনের এক কর্মকর্তা জানান, পার্ক বৃহস্পতিবার কার্যালয়ে যাননি। সিটি হল অফিসে প্রেসিডেন্টের দফতরের একজন কর্মকর্তার সঙ্গে একটি মিটিংও বাতিল করেন তিনি।

পুলিশ কর্মকর্তা লি বিয়েয়ং-সেওক সাংবাদিকদের জানান, স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ৫৩ মিনিটে নিরাপত্তা ক্যামেরায় তাকে যে এলাকায় শেষবার দেখা যায় সেই এলাকাতেই সর্বশেষ তার ফোনের সিগনাল পাওয়া গিয়েছিল। বৃহস্পতিবার প্রায় ড্রোন ও কুকুরসহ ৬০০ পুলিশ ওই এলাকায় তল্লাশি চালায়।

২০১১ সালে প্রথমবার সিউলের মেয়র নির্বাচিত হন পার্ক। গত বছরের জুনে তৃতীয় ও শেষ মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হন তিনি। প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইনের লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সদস্য পার্ককে বিবেচনা করা হচ্ছিল ২০২২ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সম্ভাব্য পদপ্রার্থী হিসেবে।

মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে পার্ক অ্যাক্টিভিস্ট ও মানবাধিকার সংক্রান্ত বিষয়ের স্বপক্ষে আইনজীবী হিসেবেও ভূমিকা রেখেছেন। দক্ষিণ কোরিয়ায় চলমান সামাজিক বৈষম্য এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধেও সোচ্চার ছিলেন তিনি। আইনজীবী হিসেবে দক্ষিণ কোরিয়ায় যৌন হয়রানির দায়ে অভিযুক্ত প্রথম ব্যক্তিকে তিনি দোষী সাব্যস্ত করেন।