সিঙ্গাপুরে ক্ষমতাসীনরা জিতলেও বিরোধীদের ‘ঐতিহাসিক অগ্রগতি’

করোনাভাইরাস মহামারি পরিস্থিতির মধ্যেই সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত ১৩তম জাতীয় নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে ক্ষমতাসীন পিপল’স অ্যাকশন পার্টি (পিএপি)। তবে বিরোধী দল ওয়ার্কার্স পার্টি (ডব্লিউপি)-এর ছোট হলেও ঐতিহাসিক অগ্রগতি হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এখবর জানিয়েছে।

4401

শুক্রবার (১০ জুলাই) অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন পিএপি ৯৩টি আসন পেয়েছে। আসনের হিসেবে ৮৯ শতাংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। তবে দলটির পপুলার ভোট কমেছে ৬১ শতাংশ। আর দেশটির একমাত্র বিরোধী দল ওয়ার্কার্স পার্টি (ডব্লিউপি) পেয়েছে ১০টি আসন। গত নির্বাচনে দলটি ৬টি আসন পেয়েছিল। স্বাধীনতার পর দলটি এবারই সবচেয়ে বেশি আসনে জয় লাভ করলো।

ভোট গণনা শেষে সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সেইন লুং বলেন, ‘আমরা নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছি। জনগণের সমর্থন পেয়েছি। যদিও পপুলার ভোটের শতাংশ খুব একটা বেশি না।’

এর আগে করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই দেশটির জনগণ উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে ভোট দিয়েছেন। কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে, ভোটাররা গ্লাভস ও মাস্ক পরে, নির্দিষ্ট করে দেওয়া সময়ে ভোটের স্লটে ভোট দেন। সন্ধ্যা পর্যন্তও বিভিন্ন কেন্দ্রের বাইরে ভোটারদের ভীড় ছিল। সে কারণে ভোট দেওয়ার সময় ২ ঘণ্টা বাড়ানো হয়, যা দেশটির নির্বাচনের ইতিহাসে প্রথম ঘটল। রাত ১০টায় শেষ হয় ভোটগ্রহণ।

এই নির্বাচনকে সিঙ্গাপুরে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে সরকারের পদক্ষেপের বিষয়ে গণভোট হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছিল।

সংবাদ সম্মেলনে লি বলেন, আমি যেমনটি প্রত্যাশা করছিলাম তেমন শক্তিশালী ম্যান্ডেট পাইনি। তবে এটি ভালো ফল। এই ফল চলমান সংকটে সিঙ্গাপুরের মানুষের বেদনা ও অনিশ্চয়তার প্রকাশ।  

পিএপি ১৯৫৯ সাল থেকে দেশটির রাজনীতিতে কর্তৃত্ব বজায় রেখে আসছে। লি সেইন লুং-এর বাবা লি কিউয়ান ইয়ু দেশটির প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।

আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুসারে, সিঙ্গাপুরে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৫ হাজার ৬১৩ জন। দেশটিতে আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৬ জনের এবং সুস্থ হয়েছেন ৪১ হাজার ৭৮০ জন।