ভারতের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই ভুটানের ভূখণ্ডে নজর চীনের

ভারতের লাদাখ সীমান্তের উত্তেজনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার ভুটানের ভূখণ্ডে নজর দিয়েছে চীন। ২৫ তম সীমান্ত আলোচনায় চীনের অনুকূল শর্তে ভুটানের পশ্চিমের রাজ্যের অংশ দাবি নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে রবিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, যদিও থিম্পু চীনা সামরিক বাহিনীর হুমকি সম্পর্কে সবোর্চ্চ পর্যায়ে সংবেদনশীল অবস্থায় রয়েছে। আসন্ন আলোচনায় বেইজিং সম্ভবত রাজ্যের পশ্চিম অংশ দাবি করতে পারে।

_33530a38-f587-11ea-ac5c-9be95d2c150f

শিলিগুড়ি করিডোরের পাশেই ভুটানের অবস্থান। এটি ভারতের কেন্দ্রীয় জাতীয় নিরাপত্তার কেন্দ্রবিন্দু। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ভুটানের যে কোনও আঞ্চলিক সমঝোতা এই অঞ্চলে ভারতীয় সুরক্ষার ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে।

নাম না প্রকাশ করার শর্তে ভারতীয় কূটনৈতিক ও নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, ২০১৭ সালে ডুকলাম মালভূতিতে ৭৩ দিন চীনা সামরিক বাহিনীর অবস্থানের সময় ভুটানকে সাহায্য করেছিল ভারত।

ভুটানের পশ্চিম সেক্টরে ৩১৮ বর্গকিলোমিটার ও মধ্য সেক্টরে ৪৯৫ বর্গ কিলোমিটার চীনা ভূখণ্ড দাবি করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের আওতায় চীন তার সম্প্রসারণবাদী নীতি অব্যাহত রেখেছে।

থিম্পু ও নয়া দিল্লিভিত্তিক কূটনীতিকদের মতে, ২০১৭ সালে ডুকলামে মুখোমুখি অবস্থানের পর চীনের পিপল’স আর্মি (পিএলএ) পশ্চিম ভুটানের পাঁচটি এলাকায় অনুপ্রবেশ করেছে এবং ভুটানের অভ্যন্তরে ৪০ কিলোমিটার ভূমির দাবি করেছে।

সামরিক বাহিনীর মাধ্যমে আগ্রাসী টহল ও প্রবেশ অস্বীকার করে রাস্তাঘাট, সামরিক অবকাঠামো নির্মাণ ও সংস্কার চালিয়ে যাচ্ছে। অপেক্ষাকৃত ছোট রয়্যাল ভুটান আর্মিকে অব্যাহত ভয় দেখিয়ে যাচ্ছে চীনা বাহিনী।

নিরাপত্তা পরিকল্পনাবিদদের মতে, উত্তর ডুকলামে নজরদারির সরঞ্জাম বসিয়েছে এবং চীনা মালভূমিতে আগ্রাসী অবস্থান নিয়েছে। ভুটান দেশটির সেনাবাহিনীকে মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।