৫ম দিনেও আর্মেনিয়া-আজারবাইজান সংঘর্ষ অব্যাহত

বিশ্বনেতাদের যুদ্ধবিরতির আহ্বানের পরও বিরোধপূর্ণ নাগরনো-কারাবাখ অঞ্চলে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যকার সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। সংঘাতের পঞ্চম দিন বৃহস্পতিবারও উভয়পক্ষের মধ্যে ভারি গোলাবর্ষণ অব্যাহত ছিল। বিচ্ছিন্নতাবাদীদের প্রাদেশিক রাজধানীতে মধ্যরাতে দুটি বিস্ফোরণের এবং সাইরেনের শব্দ শোনা গেছে। শহরটির স্থানীয়রা জানিয়েছে, ড্রোন ব্যবহার করে হামলা চালানো হচ্ছে। মার্কিন বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) এ খবর জানিয়েছে।

civilians-areas-have-been-hit-by-shelling-during

আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, দখলকৃত অঞ্চলে আর্মেনীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে রাতভর গোলাবর্ষণ চালিয়েছে তারা।

আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা বুধবার রাতের পরিস্থিতিকে উত্তেজনাকর হিসেবে উল্লেখ করেছে এবং জানিয়েছে উভয়পক্ষের মধ্যে গোলাবিনিময় হয়েছে। এক কর্মকর্তা বলেন, শত্রুরা নিজেদের পুনরায় সংগঠিত করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু আর্মেনিয়ার সেনাবাহিনী তা নস্যাৎ করে দিয়েছে।

টানা সংঘাতে বেসামরিকসহ নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২৭ জনে। আর্মেনিয়ার ১০৪ সেনা ও ২৩ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে। আজারবাইজানের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনও সেনা নিহতের কথা স্বীকার করা হয়নি। তবে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি’র এক প্রতিনিধি জানিয়েছে, সংঘর্ষে নিহত এক সেনার দাফন তিনি প্রত্যক্ষ করেছেন।

খবরে বলা হয়েছে, উভয়পক্ষই একে অপরের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করে আসছে। বিশ্বনেতাদের আহ্বান উপেক্ষা করে সংঘাত অব্যাহত থাকায় সংঘর্ষে আঞ্চলিক শক্তি তুরস্ক ও রাশিয়ার জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা জোরদার হচ্ছে।

আর্মেনিয়া সাবেক সোভিয়েত দেশগুলোর সামরিক জোটের সদস্য। এই জোটের নেতৃত্বে রয়েছে রাশিয়া। আর্মেনিয়ার সঙ্গে বিরোধপূর্ণ সম্পর্ক থাকা তুরস্ক আজারবাইজানের ঘনিষ্ঠ মিত্র। ইয়েরেভানের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, কারাবাখে সংঘাতে আজারবাইজানকে শক্তিশালী করতে উত্তর সিরিয়া থেকে ভাড়াটে সেনা পাঠিয়েছে তুরস্ক। তবে আঙ্কারা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

বুধবার মস্কোর পক্ষ থেকে সংঘাত অবসানের জন্য পুনরায় আহ্বান জানানো হয়েছে। তারা উভয়পক্ষের আলোচনা আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছে। আর্মেনিয়ার মতো রাশিয়াও অভিযোগ করেছে, লিবিয়া ও সিরিয়াসহ অঞ্চলটির বেআইনি যোদ্ধাদের কারাবাখে মোতায়েন করা হচ্ছে।