থাইল্যান্ডে জরুরি অবস্থা অগ্রাহ্য করে বিক্ষোভ

থাইল্যান্ডে জরুরি অবস্থা অগ্রাহ্য করে আবারও রাজধানী ব্যাংককে রাজপথে নেমেছেন বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভ দমাতে জারি করা জরুরি অবস্থায় মিছিল-সমাবেশ ও গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের গ্রেফতারের পরও বৃহস্পতিবার এই প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভকারীরা গ্রেফতারকৃতদের মুক্তির দাবি জানান। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এখবর জানিয়েছে।

_114920181_d29a95c5-3ccb-4020-a7c5-93049a6f54bd

বুধবার বিক্ষোভের জের ধরে বৃহস্পতিবার সকালে থাই সরকার জরুরি অবস্থা জারি করে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ভোর ৪টা থেকে এটি কার্যকর হয়েছে। রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে চলমান শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি থামানোর লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া বড় ধরনের যে কোনও সমাবেশের ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

বুধবার রাতভর বিক্ষোভের পর বৃহস্পতিবার সকালে আন্দোলনকারীদের শীর্ষস্থানীয় তিন নেতাসহ বেশকিছু আন্দোলনকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে অন্তত ২০ জনকে গ্রেফতারের কথা নিশ্চিত করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃত বিক্ষোভকারীদের শীর্ষস্থানীয় তিন নেতা হচ্ছেন মানবাধিকার বিষয়ক আইনজীবী অ্যানন নামপা, পেঙ্গুইন নামে সুপরিচিত অ্যাক্টিভিস্ট পারিত চিওয়ারাক এবং পানুসায়া সিথিজিরাওয়াত্তানকুল।

_114923115_mediaitem114923114

মূলত শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে পরিচালিত এই গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনকারীদের দাবি, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ এবং রাজার ক্ষমতা কমিয়ে আনা। গত আগস্টে থাইল্যান্ডের রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে জনসমক্ষে প্রথমবার সমালোচনা করে এবং প্রথাগত ধারার সংস্কারের দাবি তুলে আলোচনায় আসেন বিক্ষোভকারীদের নেতা অ্যানন। ওই মাসের শেষদিকে রাজতন্ত্রের নিয়ম সংস্কারের ১০ দফা দাবি পেশ করে আলোচনায় আসেন পানুসায়া সিথিজিরাওয়াত্তানকুল।  

_114923118_b709f32d-7379-432f-83e0-bf85ef3e6273

জরুরি অবস্থা অগ্রাহ্য করে বিক্ষোভকারীরা তিন আঙুলের অভিবাদন জানান। শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে চলমান এই বিক্ষোভে এই অভিবাদন প্রতীকে পরিণত হয়েছে। বিবিসি’র খবরে বলা হয়েছে, ব্যাংককের রাচাপ্রাসং জেলায় শান্তিপূর্ণভাবে কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী জড়ো হন। সমাবেশে বক্তব্য দেন পানুপং জাডনং। বিক্ষোভকারীদের ঘিরে রাখে দাঙ্গা পুলিশ। ঘটনাস্থলের ছবিতে দেখা গেছে, বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ও জোরপূর্বক গ্রেফতার করা হচ্ছে প্রতিবাদকারীদের।