চীনে নতুন রফতানি নিয়ন্ত্রণ আইন পাস

জাতীয় নিরাপত্তা সুরক্ষায় সংবেদনশীল পণ্য রফতানিতে কড়াকড়ি আরোপ করে একটি নতুন আইন পাস করেছে চীন। ১ ডিসেম্বর থেকে এটি কার্যকর হবে। জাতীয় নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট বেসামরিক, সামরিক ও পারমাণবিকসহ যেকোনও পণ্য, প্রযুক্তি এই নিয়ন্ত্রণ আইনের আওতায় থাকবে।  যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বাণিজ্যিক উত্তেজনা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকার প্রেক্ষাপটে এই নিয়ন্ত্রণ নীতি গ্রহণ করলো বেইজিং। মার্কিন বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) এ খবর জানিয়েছে।

800

শনিবার চীনের শীর্ষ আইনসভা ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসে আইনটি পাস হয়েছে। যেসব দেশ রফতানি নিয়ন্ত্রণের অপব্যবহার করে এবং জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি সেসব দেশের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে চীন এই আইন পাস করেছে।

জাতীয় সুরক্ষা এবং স্বার্থরক্ষার জন্য প্রণীত নতুন আইন চীনের একটি নিয়ন্ত্রণের হাতিয়ার হিসেবে কাজ করবে। এতে বিধিনিষেধ আরোপিত টেক রফতানি পণ্য এবং অবিশ্বস্ত আমদানিকারকের তালিকা থাকবে। আইনের প্রকাশিত বিবরণ অনুযায়ী, প্রযুক্তিগত ডাটা সম্পর্কিত আইটেমগুলো এই নতুন আইনের বিধিনিষেধের আওতায় আসবে।

আইনে বলা হয়েছে,  যেকোনও দেশ বা অঞ্চল চীনের জাতীয় সুরক্ষা এবং স্বার্থকে বিপন্ন করার জন্য রফতানি নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপগুলোর যদি অপব্যবহার করে তাহলে এই আইনে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে। কোনও কোম্পানি ও ব্যক্তি বিশেষ এই আইনটি লঙ্ঘন করে জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির মুখে ফেললে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হবে। বিদেশিরাও এর আওতায় থাকবেন। আইন লঙ্ঘনকারীদের ৭ লাখ ৪৬ হাজার ৫০০ ডলার বা অবৈধ লেনদেনের ২০ গুণ মূল্য জরিমানা দিতে হবে।

বেইজিংয়ের সর্বশেষ এই পদক্ষেপে চীনা টেকফার্মের বিরুদ্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের লড়াইয়ে আরও বেশি সুযোগ তৈরি করবে। এরই মধ্যে হোয়াইট হাউজ জনপ্রিয় প্লাটফরম এবং অ্যাপস টিকটক, উউচ্যাট, প্রযুক্তি জায়ান্ট হুয়াওয়ে এবং চিপসমেকার সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্টারন্যাশনাল কর্পোরেশনসহ বড় সংস্থার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি হুঁশিয়ারি জানিয়ে চীন বলেছে, মার্কিন প্রশাসন তাদের নাগরিকদের নিয়ে যে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে তার পাল্টা প্রতিক্রিয়ার অংশ হিসেবে বেইজিংও তাদের দেশে থাকা মার্কিন নাগরিকদের আটক করতে পারে।