বাগদাদে আইএস-এর ভয়াবহ হামলায় সমালোচনা ও ক্ষোভ

বাগদাদের উত্তরে ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর হামলায় ইরাকের ছয় নিরাপত্তাকর্মী ও তিন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। শনিবার দেশটির পুলিশ ও এক স্থানীয় কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন। ভয়াবহ এই হামলার পর দেশটির সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা শুরু হয়েছে। সমালোচকরা বলছেন, কর্তৃপক্ষ আইএসবিরোধী লড়াইয়ে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

92839_IRQ20201121DAESHAA_1605989818877



পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, রাস্তার ধারে পুঁতে রাখা এক বোমার সঙ্গে একটি গাড়ির ধাক্কা লাগে। পুলিশ ও সেনা-সংশ্লিষ্ট সামরিক বাহিনীর একটি উদ্ধারকারী দল রাজধানী থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার (১২০ মাইল) দূরের ওই ঘটনাস্থলে পৌঁছলে আইএস সদস্যরা তাদের ওপর গুলি চালায়।
তিকরিত শহর থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে জুইয়ার মেয়র মোহাম্মদ জিদান বলেন, তিন জন বেসামরিক নাগরিকসহ হাশেদ আল-শাবির চার সদস্য ও দুই পুলিশ ঘটনায় নিহত হয়েছে।
হামলাকারীদের মধ্যে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও হতাহতের খবর জানা যায়নি। তবে জিদান জানান, শিয়া প্রধান কোয়ালিশন বাহিনী হাশেদের মধ্যে নিহতরা সুন্নি উপজাতির।
যদিও তাৎক্ষণিকভাবে এ ঘটনার জন্য কাউকে দায়ী করা হয়নি। তবে, মেয়র ও পুলিশ উভয়ই বলেছেন, হামলাটি ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিদের কাজ।
২০১৭ আইএস দখলকৃত ভূখণ্ড উদ্ধার করে ইরাক। তবে ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণ হারালেও হামলা অব্যাহত রেখেছে জঙ্গি সংগঠনটি। কৌশল বদলে আইএস হিট অ্যান্ড রান এবং স্লিপার সেল দিয়ে হামলা চালাচ্ছে সরকারি স্থাপনাগুলোতে। ইরান সমর্থিত শিয়া গোষ্ঠী হাশদ আল-শাবি মিলিশিয়াদের হামলার লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে তারা।
দুই সপ্তাহ আগে বাগদাদের উপকণ্ঠে আইএসের হামলায় ১১ জন নিহত হয়েছিলেন। এলাকাটিতে সুন্নি মুসলমানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে।
শনিবারের হামলা নিয়ে দেশটির এক সুন্নি এমপি টুইটারে লিখেছেন, ইরাকের নিরাপত্তাবাহিনী আমাদের নিশ্চিত করেছে এলাকাটি থেকে জঙ্গিদের হটিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আরেক সুন্নি নেতা জামাল আল-ধারি লিখেছেন, এই হামলা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ব্যর্থতাকে আলোকপাত করছে।