সংকট নিরসনে চুক্তির দ্বারপ্রান্তে সৌদি আরব ও কাতার

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদ্যোগে উপসাগরীয় সংকট নিরসনে চুক্তি করতে যাচ্ছে সৌদি আরব ও কাতার। হোয়াইট হাউজ ছেড়ে যাওয়ার আগে ট্রাম্প বড় সাফল্য পেতে মধ্যপ্রাচ্য সংকট মেটানোর নতুন নীতি গ্রহণ করেছেন। এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে মধ্যপ্রাচ্যে রয়েছেন ট্রাম্পের উপদেষ্টা ও জামাতা জ্যারেড কুশনার। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

55779987_303

২০১৭ সালের জুন মাসে কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ও যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মিসর। সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নের অভিযোগে এই পদক্ষেপ নেয় দেশগুলো। তবে কাতার বরাবর এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

খবরে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের উদ্যোগে সৌদি আরব ও কাতারের মধ্যে একটি প্রাথমিক চুক্তি হতে পারে। ট্রাম্প হোয়াইট হাউজ ছেড়ে যাচ্ছেন আগামী ২০ জানুয়ারি। তার আগে যাতে এই চুক্তি হয়ে যায়, তার জন্য কাজ করছে ট্রাম্প প্রশাসন।

গত সপ্তাহে রিয়াদে সৌদি আরবের প্রভাবশালী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে দেখা করেছেন জ্যারেড কুশনার। বুধবার তিনি কাতারের আমির শেখ তামিম বিল হামাদ আল থানির সঙ্গেও আলোচনা করেছেন। তারপর তিনি কাতার ছেড়ে চলে গেছেন।

বুধবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এক মার্কিন কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, আলোচনার প্রধান বিষয় ছিল বিরোধ মেটানো এবং কাতারের বিমান যাতে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের উপর দিয়ে যেতে পারে, তার ব্যবস্থা করা।

আরেক মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, প্রাথমিক চুক্তি শুধু সৌদি আরব ও কাতারের মধ্যে হবে। আমিরাত, বাহরাইন ও মিসর এতে থাকবে না।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের খবরে বলা হয়েছে, চার দেশ নিষেধাজ্ঞা তোলার শর্ত কিছুটা শিথিল করেছে। তারা এখন সংকট কাটানোর জন্য আগের তুলনায় অনেক বেশি নমনীয়।

লন্ডনের কিংস কলেজের অ্যাসিসটেন্ট প্রফেসার অ্যান্ড্রিয়াস ক্রিগ বলেছেন, সৌদি আরব ও কাতার যে প্রাথমিক চুক্তি করতে পারে, এটি খুবই ভালো খবর। তবে বিরোধ মিটতে কয়েক বছর সময় লেগে যেতে পারে। চুক্তির ঘোষণা হলে বোঝা যাবে, দুই দেশের নেতারা আত্মবিশ্বাস বাড়াবার জন্য কী পদক্ষেপ নিচ্ছেন। বিরোধ মেটাতে তারা কতটা আগ্রহী।

মঙ্গলবার জাতিসংঘে নিযুক্ত সৌদি আরবের স্থায়ী প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ বিন ইয়াহিয়া আল-মুয়াল্লিমি বলেছেন, কাতার যদি তাদের আগের অবস্থান থেকে সরে আসে, সন্ত্রাসবাদকে সহযোগিতা বন্ধ করে, চরমপন্থী সংবাদমাধ্যমকে অনুদান থামায় এবং অপর আরব দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ বন্ধ করে, তাহলে কাতার ও উপসাগরীয় দেশের সম্পর্ক কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ভালো অবস্থানে যেতে পারে।