উ. কোরিয়ার সবচেয়ে বড় শত্রু যুক্তরাষ্ট্র: কিম জং উন

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন বলেছেন যুক্তরাষ্ট্র তার দেশের সবচেয়ে বড় শত্রু। আর যেই প্রেসিডেন্ট হোক না কেন ওয়াশিংটন পিয়ংইয়ং-এর প্রতি নীতি বদলাবে বলে আশা করেন না তিনি। ক্ষমতাসীন ওয়ার্কাস পার্টির বিরল এক কংগ্রেসে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র এবং সামরিক সম্ভাবনা সম্প্রসারণের প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। তিনি জানান, পারমাণবিক সাবমেরিনের পরিকল্পনা প্রায় সম্পন্ন হয়ে গেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতা গ্রহণের প্রস্তুতি নেওয়ার মধ্যে কিম জং উন কঠোর বার্তা দিয়েছেন। বিশ্লেষকরা মনে করছেন যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে কঠোর মন্তব্য করেছেন কিম। বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে উষ্ণ সম্পর্ক রেখেছেন কিম। তবে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে কোনও নির্দিষ্ট অগ্রগতি হয়নি।

ওয়ার্কাস পার্টির ইতিহোসে অষ্টম বারের মতো অনুষ্ঠিত হওয়া সাম্প্রতিক কংগ্রেসে কিম জং উন বলেছেন পিয়ংইয়ং ততক্ষণ পর্যন্ত তার পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে চায় না যতক্ষণ শত্রু বাহিনী প্রথমে উত্তর কোরিয়ার ওপর প্রয়োগের পরিকল্পনা না করছে। তিনি বলেন, ‘উত্তর কোরিয়ার বিপ্লবের সবচেয়ে বড় বাধা এবং সবচেয়ে বড় শত্রু হলো যুক্তরাষ্ট্র। যেই ক্ষমতায় থাকুক না কেন উত্তর কোরিয়ার প্রতি সত্যিকার মার্কিন নীতি কখনওই বদলাবে না।’

নিজের বক্তব্যে কিম জং উন উত্তর কোরিয়ার আকাঙ্ক্ষিত অস্ত্রের পরিকল্পনা তুলে ধরেন। দীর্ঘ পাল্লার ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র থেকে শুরু করে সুপার লার্জ ওয়ারহেডস নিয়ে পরিকল্পনার কথা জানান তিনি।

আন্তর্জাতিক কঠোর নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও অত্যাধুনিক অস্ত্রের ব্যাপক উন্নয়ন ঘটিয়েছে উত্তর কোরিয়া। যদিও গত সপ্তাহে কিম জং উন স্বীকার করেন তার পাঁচ বছরের অর্থনৈতিক পরিকল্পনা প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হয়েছে।