শরৎ নাগাদ হার্ড ইমিউনিটি অর্জনের আশা দক্ষিণ কোরীয় প্রধানমন্ত্রীর

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী চুং সিয়ে কিউন আশা প্রকাশ করেছেন, টিকা কর্মসূচি দেরিতে শুরু হলেও আগামী শরৎ নাগাদ তার দেশ হার্ড ইমিউনিটি অর্জন করবে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমন আশা প্রকাশ করেন তিনি।

গত বছর প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় গণহারে পরীক্ষাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। তবে টিকা কর্মসূচির ক্ষেত্রে সেখানে ধীরগতি দেখা গেছে। এ সপ্তাহের শেষের দিকে সেখানকার স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকা দেওয়া শুরু হবে। অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও ফাইজারের তৈরি ভ্যাকসিন ব্যবহার করবে দেশটি। আগামী মাস নাগাদ প্রায় ৮ লাখ মানুষকে টিকা প্রয়োগের আশা করা হচ্ছে।

বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভ্যাকসিনের ধীরগতির বিষয়টি উড়িয়ে দেন দক্ষিণ কোরীয় প্রধানমন্ত্রী। তার দাবি, এর মধ্য দিয়ে অন্যান্য দেশে ভ্যাকসিন কেমন কাজ করছে তা নিরূপণ করার সুযোগ পাচ্ছেন তার দেশের কর্মকর্তারা। চুং বলেন, ‘আপনারা জানেন না কোরীয় জনগণ গতিতে মাস্টার।’ তিনি আরও বলেন, ‘যদিও এটা সহজ কাজ নয়, তারপরও বলব সেপ্টেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহের শেষ নাগাদ আমরা ৭০ শতাংশ মানুষের শরীরে টিকা প্রয়োগের কাজ শেষ করতে পারব। এটা সম্ভব হবে বলেই আমি বিশ্বাস করি।’

দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার দেশের সাড়ে ৫ কোটি জনগণের জন্য যথেষ্ট পরিমাণে ভ্যাকসিন নিশ্চিতে সরবরাহকারীদের সঙ্গে চুক্তি করে রেখেছে। তবে সব ডোজ পেতে জুলাই পর্যন্ত হয়ে যাবে।  

সম্প্রতি কোরিয়া সোসাইটি অপিনিয়ন ইন্সটিটিউটের এক জরিপে দেখা গেছে, ৪৫ শতাংশ মানুষ ভ্যাকসিন নিতে আগ্রহী। আবার ৪৫ শতাংশ মানুষ বলেছেন, তারা পরিস্থিতি বুঝে-শুনে তারপর ভ্যাকসিন নেবেন। আর ৫ শতাংশ মানুষ জানিয়েছে তারা ভ্যাকসিন নিতে আগ্রহী নয়।

এ ব্যাপারে চুং সিয়ে বলেন, ‘অবশ্যই কিছু মানুষ ভ্যাকসিন না নিতে চাইতে পারে। তবে বেশি সংখ্যক মানুষ যেন ভ্যাকসিন নেন সে ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করবে সরকার। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ভ্যাকসিন যদি কার্যকারিতা দেখাতে পারে তবে ৭০ শতাংশ মানুষকে টিকা দেওয়ার পর এ শরৎ নাগাদ হার্ড ইমিউনিটি অর্জিত হবে। কোরীয়রা তখন হয়তো স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে।’