প্রতিবেশীদের উদ্যোগকে সন্দেহ করছেন মিয়ানমারের বিক্ষোভকারীরা

থাইল্যান্ড সফরে গেছেন মিয়ানমারের ক্ষমতা দখলকারী জান্তা সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উন্না মং লুইন। মূলত দক্ষিণপূর্ব এশীয় দেশগুলোর জোট আসিয়ান সদস্যদের সঙ্গে পরামর্শ করতে প্রথমবারের মতো বিদেশ সফরে গেছেন তিনি। সেখানে তার সঙ্গে থাই পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীরও বৈঠক অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে। তবে প্রতিবেশী দেশগুলোর এই উদ্যোগ নিয়ে সন্দেহ পোষণ করছেন মিয়ানমারে গণতন্ত্রের দাবিতে আন্দোলনরতরা। তারা মনে করছেন এই উদ্যোগের মাধ্যমে জান্তা সরকারকে বৈধতা দেওয়া হতে পারে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকেই বিক্ষোভে উত্তাল মিয়ানমার। এরইমধ্যে কূটনৈতিক উপায়ে সংকট উত্তরণের উদ্যোগ নিয়েছে আসিয়ান জোটের প্রভাবশালী দেশ ইন্দোনেশিয়া। সেই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবেই জান্তা সরকারের মন্ত্রীর সঙ্গে থাইল্যান্ডে বৈঠক করছেন ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদি। থাইল্যান্ডের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান ওচা এক সাবেক সেনা কর্মকর্তা। ২০১৪ সালে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশটির ক্ষমতায় আসেন তিনিও।

থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক চলমান এই উদ্যোগ নিয়ে সন্দেহপ্রবণ হয়ে উঠেছেন মিয়ানমারের বিক্ষোভকারীরা। বুধবার ইয়াঙ্গুনে থাই দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ করেছে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী। বিক্ষোভকারীরা সেখানে মিয়ানমারের নির্বাচনের ফলাফলের প্রতি শ্রদ্ধা দেখানোর আহ্বান জানান। তারা স্লোগান দেন, ‘আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অং সান সু চি।’

এদিকে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের কথা অস্বীকার করেছেন থাই প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান ওচা। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘কিছু বিষয় আনুষ্ঠানিক নয়। আমরা আসিয়ান দেশগুলোর সহায়তার প্রতি সমর্থন রাখছি আর সবকিছু নির্বিঘ্নে চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে শুভ কামনা জানাচ্ছি।’