মিয়ানমার সীমান্তে টহল জোরদার করেছে ভারত

শরণার্থী প্রবেশ ঠেকাতে মিয়ানমার সীমান্তে শুক্রবার (৫ মার্চ) থেকে টহল জোরালো করেছে ভারতের নিরাপত্তা বাহিনী। মিয়ানমারে বিক্ষোভকারীদের দমনের জন্য সামরিক জান্তার দেওয়া আদেশ উপেক্ষা করে ভারতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আশ্রয় নেওয়ার পর এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসিকে (এনএলডি) ক্ষমতাচ্যুত করে দেশটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে সামরিক বাহিনী। এনএলডির নেত্রী অং সান সু চি ও অন্যান্য নেতাদের গ্রেফতার করে কারাবন্দি করে রেখেছে সামরিক জান্তা। ১ ফেব্রুয়ারির ওই সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে দেশটিতে অস্থিরতা বিরাজ করছে। গণতন্ত্র পুনর্বহাল ও সু চিসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ করছে জনতা। প্রথমদিকে সংযম দেখালেও ক্রমেই সহিংসপন্থায় বিক্ষোভ দমন করার চেষ্টা নিয়েছে সামরিক কর্তৃপক্ষ। বিক্ষোভকারীদের দেখামাত্র গুলির হুমকি দিয়েছে তারা। এমন কঠোর আদেশ পালন থেকে বাঁচতে গত কয়েকদিনে দেশটির বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য ভারতে পালিয়েছেন। এমন অবস্থায় শুক্রবার সীমান্তে টহল জোরদার করেছে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী।

মিজোরাম রাজ্যের চাম্পাই জেলার ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা মারিয়া জুয়ালি রয়টার্সকে টেলিফোনে বলেন, ‘এ মুহূর্তে আমরা কাউকে প্রবেশ করতে দিচ্ছি না।’

সেরচিপ জেলার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কুমার অভিষেক রয়টার্সকে বলেন, ওই সীমান্ত দিয়ে এক নারী ও শিশুসহ আটজন প্রবেশ করেছে। তাদের যত্ন নেওয়া হচ্ছে। আরও অনেকে প্রবেশ করবে বলে ধারণা করছেন তারা। ৩০-৪০ জন মানুষের থাকার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে সেখানে।

মিজোরামের এক জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, সম্প্রতি মিয়ানমার পুলিশের প্রায় ৩০ সদস্য ও তাদের পরিবার সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছে। এর মধ্যে কেউ কেউ আবার রাতে প্রবেশ করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা আরও জানান, ভারতীয় সেনাদের জোরালো টহল সত্ত্বেও অনেকে সীমান্ত পাড়ি দিতে সক্ষম হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন পথে মানুষ প্রবেশ করছে। সীমান্ত বিস্তৃত এলাকা আপনি এটা রুখতে পারবেন না।’

উল্লেখ্য, প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে মিয়ানমারের এক হাজার ৬৪৩ কিলোমিটার দীর্ঘ স্থল সীমান্ত রয়েছে।