নিরাপত্তা হেফাজতে সু চি’র দলীয় কর্মীর মৃত্যু, নিপীড়নের অভিযোগ

মিয়ানমারে ক্ষমতাচ্যুত রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি’র দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি (এনএলডি)-এর এক নেতা কারা হেফাজতে মারা গেছেন। শনিবার (৬ মার্চ) জান্তাবিরোধী বিক্ষোভ করার সময় তাকে আটক করা হয়েছিল। এদিন রাতেই তার মৃত্যু হয়েছে। এনএলডি’র নেতাদের দাবি, কারাগারে নিপীড়নের কারণে খিন মং লাত নামের ওই কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের পতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

ফেব্রুয়ারির প্রথম দিন সেনাবাহিনী নির্বাচিত নেত্রী অং সান সু চিসহ বেসামরিক সরকারের শীর্ষ নেতাদের আটক এবং রাষ্ট্রক্ষমতা কুক্ষিগত করার পর থেকেই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে অচলাবস্থার সূচনা হয়। প্রাত্যহিক বিক্ষোভ ও অবরোধের কর্মসূচির কারণে ব্যবসায়িক পরিবেশ রুদ্ধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অচল হয়ে গেছে দেশটির দৈনন্দিন প্রশাসনিক কার্যক্রম। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারে সামরিক জান্তা সরকারের হাতে অর্ধশতাধিক বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। এরপরও বিক্ষোভকারীরা প্রতিদিনেই রাস্তায় নামছেন এবং গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চির মুক্তিসহ গণতান্ত্রিক সরকারের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন।

৫৮ বছর বয়সী খিন মং লাত ইয়াঙ্গুনের স্থানীয় এনএলডি চেয়ারম্যান। শনিবর ইয়াঙ্গুনের পাবেদান জেলা থেকে গ্রেফতার হন তিনি। এরপর পুলিশি হেফাজতে ছিলেন। সহযোগী খিন স্যান মিন্ত জানিয়েছেন, সামরিক হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়েছে। সেখান থেকে যে ছবি পাওয়া গেছে তাতে তার মাথার পেছনে ও পিঠে আঘাতের চিহ্ন আছে। ‘ডাক্তার বলেছেন তার মৃত্যুর কারণ এগুলো ছিল না। তারা বলেছেন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন তিনি।’ বলেন মিন্ত।

দাতব্য সংস্থার এক কর্মীও জানিয়েছেন, তিনি মৃতদেহ দেখেছেন। খিন মং এর মাথায় ও বুকে আঘাতের চিহ্ন ছিল। মাথার এক পাশে সেলাইও ছিল। তবে ওই কর্মী তার নাম প্রকাশে অনিচ্ছা জানিয়েছেন।

পাবেদানের পুলিশ স্টেশনের এক কর্মকর্তার কাছে রয়টার্সের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হয়েছিল। তবে তিনি এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্রকে ফোন করে সাড়া পাওয়া যায়নি বলেও জানিয়েছে সংবাদ সংস্থাটি।