মিয়ানমারে অভ্যুত্থান নিয়ে পদক্ষেপ বিবেচনা করছে জাপান

মিয়ানমারের সাম্প্রতিক সামরিক অভ্যুত্থান পর্যালোচনা করছে জাপান এবং দেশটির পরিস্থিতিতে কেমন পদক্ষেপ নেওয়া দরকার তা বিবেচনা করা হচ্ছে। সোমবার দেশটির প্রধান মন্ত্রিসভা সচিব কাতসুনোবু কাতো এই তথ্য জানিয়েছেন।

মিয়ানমারের সবচেয়ে বড় দাতা দেশগুলোর একটি জাপান। দেশ দুটির ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভে সহিংসতার নিন্দা জানালেও যুক্তরাষ্ট্র বা পশ্চিমা দেশগুলোর মতো কঠোর অবস্থান নেয়নি টোকিও।

সাংবাদিকদের কাতো বলেন, অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও নীতির ক্ষেত্রে মিয়ানমারের পরিস্থিতিতে কেমন পদক্ষেপ নেওয়া দরকার তা আগামীতে বিবেচনা করবে জাপান। এজন্য দেশটির অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হবে। উদ্বিগ্ন দেশগুলোর কথাও মাথায় রাখা হবে।

মিয়ানমারের সঙ্গে প্রতিরক্ষা বিনিময় ও অস্ত্রবিক্রিতে দক্ষিণ কোরিয়া নিষেধাজ্ঞা জারির পর জাপান নিজেদের এই অবস্থানের কথা জানালো। সামরিক অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভে সহিংসতার পর কোরিয়া এসব পদক্ষেপ নিয়েছিল।

এদিকে, অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে প্রাণহানি থামছেই না। উল্টো জান্তাবিরোধী আন্দোলনে ক্রমেই আরও অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে দেশটি। রবিবার প্রধান বাণিজ্যিক শহর ইয়াঙ্গুনসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালায় সরকারি বাহিনী। অ্যাডভোকেসি গ্রুপ অ্যাসিসট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স (এএপিপি) জানিয়েছে, এদিন নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে অন্তত ৩৯ বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে চলমান বিক্ষোভে নিহতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে।