পরমাণু চুক্তি রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় ইরান

পরমাণু চুক্তি রক্ষায় শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় যোগ দিচ্ছে ইরান। মঙ্গলবার অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ইরান দাবি করে আসছিল, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আগ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনও আলোচনায় তারা বসবে না। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এখবর জানিয়েছে।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে ২০১৮ সালে ওয়াশিংটন এই চুক্তি থেকে বেরিয়ে যায়। দায়িত্ব নেওয়ার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, তিনি তার পূর্বসুরি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে এবং ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তিতে ফিরে যেতে প্রস্তুত রয়েছেন।

জো বাইডেন বলেছেন, ইরান কখনও সামরিক পরমাণু কর্মসূচি গড়ে তুলবে না ওই চুক্তিতে যেন এমন নিশ্চয়তা দেওয়া হয়। কিন্তু ইরান ট্রাম্পের আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা অবসানের দাবি তুলে সর্বশেষ বৈঠকে মার্কিন আলোচকদের সঙ্গে এ ব্যাপারে আলোচনা করতে অস্বীকৃতি জানায়।

জানুয়ারিতে ইরান জানায়, তারা ২০ শতাংশ বিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছে। আর এটা তারা ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি মেনেই করছে।
২০১৫ সালের চুক্তি অনুযায়ী বর্তমান সদস্য ইরান, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া ও ব্রিটেনের মধ্যে আলোচনার বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন সভাপতিত্ব করবে। মঙ্গলবার এ আলোচনা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী ৬ দেশ চাইছে ট্রাম্পের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের একটি সমাধান। ইউরোপীয় ইউনিয়নের কর্মকর্তারা এই বিষয়ে মধ্যস্থতা করছেন।

সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের সামনে যে চ্যালেঞ্জ রয়েছে সেগুলো কখনোই খাটো করে দেখছি না। মাত্র আলোচনা শুরু হচ্ছে। দ্রুত কোনও বিরাট অগ্রগতি আশা করছি না। কারণ আমরা ধারণা করছি আলোচনা কঠিন হবে।

প্রাইস জানান, বাইডেন প্রশাসনের লক্ষ্য হলো চুক্তি মেনে চলতে দ্বিপক্ষীয় সমঝোতার মঞ্চ প্রস্তুত করা।

কিন্তু ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, মঙ্গলবারের বৈঠক হলো নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের উপায় নিয়ে আলোচনা।