প্রথমবারের মতো ক্ষমতা হস্তান্তরের সময়সীমা ঘোষণা মিয়ানমার সেনাবাহিনীর

ক্ষমতা হস্তান্তরের ব্যাপারে একটা সম্ভাব্য সময়সীমা ঘোষণা করেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক অনলাইন প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, প্রথমবারের মতো দুই বছরের মধ্যে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা।

১ ফেব্রুয়ারি অং সান সু চি’র নেতৃত্বাধীন নির্বাচিত সরকারকে রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে উৎখাত করে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। একটি অ্যাকটিভিস্ট গ্রুপের সূত্রে রয়টার্স বলছে, সেই থেকে এ পর্যন্ত জান্তাবিরোধী বিক্ষোভ করতে গিয়ে ৬০০ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।   

শুক্রবার রাজধানী নেপিদোতে এক সংবাদ সম্মেলনে সেনা মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জ মিন তুন বলেন, দুই বছরের মধ্যে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা তুলে দেওয়া হবে। অচিরেই মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম আবার শুরু করার পাশাপাশি ব্যাংকগুলোও খুলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।

এর আগে নেপিদোতে সিএনএনের মুখোমুখি হয়েছিলেন জ মিন তুন। প্রায় এক ঘণ্টার কথোপকথনে জান্তা সরকারের এই মুখপাত্র জোর গলায় দাবি করেন, সামরিক জেনারেলরা একটি ‘জালিয়াতি’র নির্বাচন তদন্তের মধ্য দিয়ে দেশটিকে ‘রক্ষা করছেন’। তার মতে, রাজপথে বিক্ষোভকালে যে ৬০০ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, তার পুরো দোষই ‘দাঙ্গাবাজ’ বিক্ষোভকারীদের।

জ মিন তুন সিএনএনকে জানিয়েছেন, দেশটিতে জারি করা ১ বছরের জরুরি অবস্থা আরও দীর্ঘায়িত হতে পারে। তার কথায়, দায়িত্ব যদি শেষ না হয়, তবে সেটি (জরুরি অবস্থা) ছয় মাস বা প্রয়োজনে আরও বেশি বাড়ানো হবে।

ওই সাক্ষাৎকারে তবে নতুন নির্বাচনের কোনও সময়সীমা না জানালেও একই ধরনের আভাস দিয়েছেন এই সেনা কর্মকর্তা। সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, ২০০৮ সালের সামরিক সংবিধান অনুসারে দুই বছরের মধ্যে এ প্রক্রিয়া সম্পাদনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ‘আমরা প্রতিজ্ঞা করছি, এটি বাস্তবে পরিণত করবোই’- বলেন তিনি।