জার্মানিতে নেওয়া হলো চিকিৎসাধীন মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্টকে

হত্যাচেষ্টায় গুরুতর আহত মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাসিদকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জার্মানিতে নেওয়া হয়েছে। গত সপ্তাহের ওই হামলায় জড়িত সন্দেহে তিন ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। তারা ইসলামি উগ্রবাদে যুক্ত বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে কোনও গ্রুপ এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

গত ৬ মে রাজধানী মালেতে নিজের বাড়ি থেকে বেরিয়ে গাড়িতে ওঠার সময় মোহাম্মদ নাসিদকে লক্ষ্য করে মোটরসাইকেলে রাখা বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। দীর্ঘ ১৬ ঘণ্টা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার ফুসফুস, পেট ও লিভার থেকে ধাতব বস্তু বের করা হয়। এরপর থেকেই নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।

ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় এখনও তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। হামলায় জড়িত অন্য সন্দেহভাজনদের গ্রেফতারে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। নাসিদের ওপর চালানো হামলায় এক ব্রিটিশ নাগরিক ছাড়াও আরও দুই ব্যক্তি গুরুতর আহত হন।

উল্লেখ্য,ভারত মহাসাগরের দেশ মালদ্বীপে প্রায় তিন লাখ ৩০ হাজার সুন্নি মুসলমানের বাস। অবকাশ যাপনের জন্য সুপরিচিত এই দেশটিতে প্রায়ই রাজনৈতিক অস্থিরতা চলে। ২০০৮ সালে বহু দলের অংশগ্রহণে মালদ্বীপে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন মোহাম্মদ নাসিদ। ২০১২ সালে এক অভ্যুত্থানে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। ২০১৫ সালে তাকে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিন তাকে চিকিৎসার জন্য মুক্তি দিলে তিনি যুক্তরাজ্যে নির্বাসনে চলে যান। তবে ২০১৮ সালে দেশে ফিরে আসেন তিনি।