সৌদি আরবে শ্রমিক পাঠানো স্থগিত করলো ফিলিপাইন

সৌদি আরবে শ্রমিক পাঠানো স্থগিত করেছে ফিলিপাইন। সৌদি গমনের পর নিয়োগ কর্তারা শ্রমিকদের কাছ থেকে কোয়ারেন্টিন, করোনা টেস্ট ও বিমার অর্থ আদায় করছে খবর পাওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এখবর জানিয়েছে।

খবরে বলা হয়েছে, এই সিদ্ধান্তের ফলে ফিলিপাইন থেকে সৌদি আরব যেতে চাওয়া কতজন শ্রমিক প্রভাবিত হবে তা জানা যায়নি। তবে দশ লাখের বেশি ফিলিপিনো সৌদি আরবে কাজ করেন। বেশিরভাগ নির্মাণ শ্রমিক বা গৃহকর্মী অথবা নার্স। ২০২০ সালে সৌদি আরবে কর্মরত ফিলিপিনোরা ১৮০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। দেশটির অর্থনীতিতে রেমিট্যান্স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

ফিলিপাইনের শ্রমমন্ত্রী সিলভেস্ট্রে বেলো ২৭ মে এক সরকারি আদেশে বলেছিলেন, বিষয়টি যথাযথভাবে স্পষ্ট হওয়ার পর মন্ত্রণালয় শ্রমিক পাঠানো পুনরায় শুরু বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবে।

২০১৯ সালে ফিলিপাইনের প্রবাসী শ্রমিকদের সবচেয়ে পছন্দের গন্তব্য ছিল সৌদি আরব। সরকারি তথ্য অনুসারে, ওই বছর প্রতি ৫ জন প্রবাসী শ্রমিকের ১ জন সৌদিতে কাজ করতে গিয়েছেন।

অফিস টাইম শেষ হয়ে যাওয়ার পর রয়টার্সের পক্ষ থেকে ফিলিপাইনের ম্যানিলায় অবস্থিত সৌদি আরবে দূতাবাসে জানতে চেয়ে কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি।  

উল্লেখ্য, যেসব দেশে থেকে সৌদি আরবে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়নি এমন ৩৮ দেশ থেকে করোনার ভ্যাকসিন ছাড়া কেউ যেতে চাইলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন বাধ্যতামূলক। এ ছাড়া সৌদিগামী সবার মেডিক্যাল ইন্স্যুরেন্স থাকতে হবে। এছাড়া সৌদি আরবে পৌঁছানোর পর যাত্রীকে আরও দু’বার করোনা টেস্ট করতে হবে যথাক্রমে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ও ষষ্ঠ দিনে। ২০ মে থেকে এই ব্যবস্থা কার্যকর হয়েছে। ফিলিপাইন এই দেশগুলোর তালিকায় রয়েছে।