এবারও হজযাত্রী পাঠাবে না ইন্দোনেশিয়া

বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়া এবছর কাউকে হজে যাওয়ার অনুমতি দিচ্ছে না।  করোনাভাইরাস মহামারির কারণে এই নিয়ে টানা দ্বিতীয় বছর কাউকে হজে যাওয়ার অনুমতি দিলো না দেশটি। বৃহস্পতিবার ইন্দোনেশীয় ধর্মমন্ত্রী এই ঘোষণা দিয়েছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এখবর জানিয়েছে।

ইন্দোনেশিয়ার মন্ত্রিপরিষদ সচিবালয় জানায়, দেশটির অনেক মানুষের কাছেই তাদের জীবনের অন্যতম কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য হলো হজ। মুসলিম বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নিতে কোটা পদ্ধতির কারণে অনেককেই গড়ে প্রায় ২০ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়।

ধর্মমন্ত্রী ইয়াকুত চোলিল কওমাস এক বিবৃতি বলেন, হজ যাত্রার সুরক্ষা এবং মহামারির কারণে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই বছরও ইন্দোনেশিয়ার নাগরিকদের হজে অংশগ্রহণ করার অনুমতি দেওয়া হবে না।

তিনি আরও জানান, এখন পর্যন্ত সৌদি আরবও হজে অংশগ্রহণের পথ উন্মুক্ত করেনি।

ধর্মমন্ত্রী বলেন, কেবল ইন্দোনেশিয়া নয়, বরং কোনও দেশই এখনও হজের কোটা বরাদ্দ পায়নি। কারণ, এখন পর্যন্ত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়নি।

হজের জন্য ইতোমধ্যে যারা অর্থ প্রদান করেছেন তারা আগামী বছর হজ পালনের সুযোগ পাবেন বলে জানান তিনি।

শনিবার সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা জানায়, ১১টি দেশের ওপর থেকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে। করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। কিন্তু এসব দেশ থেকে আসা যাত্রীদে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে।

সৌদি সরকারের তথ্য অনুসারে, মহামারির আগে যখন সামাজিক দূরত্বের বিধি জারি হয়নি তখন আড়াই কোটি মুসলমান এক সপ্তাহের পবিত্র স্থান মক্কা ও মদিনা সফর করতেন। সঙ্গে ওমরাহ মিলিয়ে দেশটির আয় হত ১২০০ কোটি ডলার।