আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারে আঞ্চলিক অস্থিরতা বাড়বে: ইমরান খান

বিবদমান দলগুলোর মধ্যে প্রায় দুই দশক ধরে চলা সংঘাতে বিপর্যস্ত আফগানিস্তান। শান্তি ফেরাতে দীর্ঘ সময় অবস্থানরত মার্কিন সেনারা আফগানিস্তান ছাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে কাবুল নিয়ে সতর্ক করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি বলেছেন, যুদ্ধরত দলগুলো যদি শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয় তবে ওই অঞ্চলে চরম বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়বে। এমনকি তা পাকিস্তানের নিরাপত্তার জন্যও হুমকি বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান থেকে অর্ধেক সেনা সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণার একদিন পর বুধবার এ নিয়ে সতর্ক বার্তা দিলেন পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী।

গত মে থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছে মার্কিন প্রশাসন। ২০২০ সালে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনামলে সশস্ত্র তালেবান গোষ্ঠীর সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী মার্কিন সেনা ফেরত নেওয়ার অংশ হিসেবেই এ প্রক্রিয়া চলছে। আগামী ১১ সেপ্টেম্বর মধ্যে অর্ধেক মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সময় বেঁধে দিয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

আফগানিস্তানে প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও হামলার ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছেন নারী ও শিশুসহ বেসামরিক নাগরিক। এমন অবস্থায় সেনা ও ন্যাটো জোটের নিরাপত্তা সদস্যদের প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তে কপালে ভাঁজ পড়েছে ইমরান খানের। ইমরান খান বলেন, আফগানিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কোনও সমঝোতায় না পৌঁছে মার্কিন সেনাদের ফিরিয়ে নেওয়া বেশ বিপজ্জনক। এতে পুরো অঞ্চলে সন্ত্রাসী তৎপরতা মাথাচাড়া দিতে পারে। সুতরাং সরকার পক্ষ এবং সংঘাতে লিপ্ত দলগুলোর মধ্যে শান্তি আলোচনা ছাড়া কোনও বিকল্প নেই।

৯/১১ হামলার পর ২০০১ সালে আফগানিস্তানে তালেবান সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র ও দেশটির মিত্ররা। জঙ্গিগোষ্ঠী আল কায়েদাকে সমর্থন ও আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে সন্ত্রাসবাদবিরোধী ওই যুদ্ধে তালেবানরা ক্ষমতা থেকে উৎখাত হয়। দেশটিতে মার্কিন সমর্থনে নতুন সরকার গঠিত হয়। কয়েক দফা সাধারণ নির্বাচনে সেই ক্ষমতার পরিবর্তন হলেও ১৭ বছরেও শেষ হয়নি সন্ত্রাসবাদবিরোধী যুদ্ধ। পরে বেশ কয়েক দফা শান্তি আলোচনাতেও কোনও সুষ্ঠু সমাধান হাজির হয়নি।