কৃষ্ণ সাগরে নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কারের ঘোষণা তুরস্কের

কৃষ্ণ সাগরে নতুন করে ১৩ হাজার পাঁচশ’ কোটি ঘনমিটার প্রাকৃতিক গ্যাসের সন্ধান পেয়েছে তুরস্ক। শুক্রবার গ্যাস আবিষ্কারের এই ঘোষণা দেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেব এরদোয়ান। এর মধ্য দিয়ে জ্বালানিতে তুরস্কের আমদানি নির্ভরতা কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।

গত বছর কৃষ্ণসাগরের পশ্চিমাঞ্চলে ৪০ হাজার পাঁচশ’ কোটি ঘনমিটার প্রাকৃতিক গ্যাসের সন্ধান পায় তুরস্ক। দেশটির তেল-গ্যাস অনুসন্ধানকারী জাহাজ ফাতিহ’র মাধ্যমে সাকারিয়া গ্যাসক্ষেত্রে এই মজুদ পাওয়া যায়। সেটি ছিলো তুর্কি ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গ্যাসের মজুদের সন্ধান। ওই সময়ে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেব এরদোয়ান জানান ২০২৩ সাল থেকে এই গ্যাসক্ষেত্রের জ্বালানি ব্যবহার করতে পারবেন ভোক্তারা।

শুক্রবার কৃষ্ণ সাগরে জঙ্গুলুদাক শহরের এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এরদোয়ান জানান, আমাসরা-১ কূপ এলাকায় গভীর অনুসন্ধানের কারণে বিপুল গ্যাস আবিষ্কার করা সম্ভব হয়েছে। এবারের গ্যাস অনুসন্ধানেল পেছনেও ফাতিহ জাহাজ ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে। তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, বিদেশি সহায়তা ছাড়াই তুরস্ক এই গ্যাস উত্তোলন করতে সক্ষম। ভবিষ্যতে ওই অঞ্চলে আরও ভালো কিছু পাওয়া সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এরদোয়ান। নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কারের মাধ্যমে কৃষ্ণসাগরে দক্ষিণাঞ্চলীয় এলাকায় তুরস্কের গ্যাস আবিষ্কারের পরিমাণ দাঁড়ালো ৫৪ হাজার কোটি ঘনমিটার। প্রতিবছর দেশটি সাড়ে চার থেকে পাঁচ হাজার কোটি ঘনমিটার গ্যাস ব্যবহার করে থাকে।

উল্লেখ্য, গত বছর পূর্ব ভূমধ্যসাগরে তেল গ্যাস অনুসন্ধান নিয়ে গ্রিস এবং ফ্রান্সের সঙ্গে বিবাদে জড়ায় তুরস্ক। সাইপ্রাস ও গ্রিসের পানিসীমায় তুরস্কের তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানকারী জাহাজ পাঠানোর ঘটনায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আঙ্কারার সম্পর্কের চরম অবনতি হয়। এরদোয়ান সরকারের দাবি, ওই এলাকা তুরস্কের সমুদ্র সীমার মধ্যে পড়ে। বিশেষ করে গ্রিসের সঙ্গে তুরস্কের উত্তেজনা চরমে ওঠে।এ নিয়ে তুরস্কের ওপর নিষেধাজ্ঞার হুমকি পর্যন্ত দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন-ইইউ। এতেও নিজেদের কার্যক্রম থেকে পিছু হটেনি আঙ্কারা।