কিমের স্বাস্থ্য নিয়ে জল্পনা-কল্পনা

উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের ওজন কমা নিয়ে গুঞ্জনের ডানপালা মেলেছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে। সম্প্রতি প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, উল্লেখযোগ্যভাবে ওজন কমেছে কিমের। দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যমেও এ নিয়ে ফলাও করে খবর প্রকাশ হয়েছে। বিশাল দেহের অধিকারী কিমের স্বাস্থ্য নিয়ে বিভিন্ন সময় গুঞ্জন ছড়ায়। এমনকি তার মৃত্যুর সংবাদও চাউর হয়। তবে এবার ভারি দেহের ওজন কমানো নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।

এতে বলা হয়েছে, গত শনিবার সবশেষ প্রকাশিত ছবিতে কিমের আগের ছবির সঙ্গে বিস্তর ফারাক লক্ষ্য করা গেছে। মঙ্গলবার সিউলভিত্তিক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, ৩৭ বছর বয়সী কিমের প্রিয় ঘড়িটির বেল্ট আগের তুলনায় আরও শক্ত করে বাঁধা। চেহারাতেও বেশ হালকা দেখাচ্ছে উত্তর কোরিয়ার শাসককে।

২০১১ সালে তার বাবা কিম জং ইল সন্দেহভাজনভাবে হার্ট অ্যাটাকে মারা যান। অতিরিক্ত ধূমপানের কারণে দীর্ঘদিন ধরে স্বাস্থ্য জটিলতায় ভুগছেন কিম জং উনও। তার জীবনযাত্রা নিয়ে চিকিৎসকরা সতর্ক করে আসছেন।

দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় গোয়ন্দা পরিষেবা গত বছর সংসদ সদস্যদের জানিয়েছিল যে, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিমের ওজন কমপক্ষে ১৪০ কেজি। তার বাবার মৃত্যুর পর ২০১১ সালে ক্ষমতায় বসার পর বাড়ে ৭ থেকে সাড়ে সাত কেজি পর্যন্ত। কোরিয়ার এক গবেষক জানান, অনিমিয়ত জীবন যাপনের কারণে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে থাকায় বাড়িতে বসেই ওজন কমিয়েছেন কিম। বিশেষ করে কোভিডের কারণে খুব একটা বের হতে দেখা যায়নি তাকে। যদিও উত্তর কোরিয়ার সরকারের দাবি, দেশটিতে এখন পর্যন্ত কোভিডে একজনও শনাক্ত হননি।