উত্তর কোরিয়ায় নতুন যুদ্ধজাহাজের তলা খসে যাওয়ায় বেজায় চটেছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। এই দুর্ঘটনার কারণে জাহাজ তৈরি ও পরিচালনার সঙ্গে জড়িত সবাইকে শাস্তির আওতায় আনার হুমকি দিয়েছেন তিনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২২ মে) পাঁচ হাজার টনি একটি ডেস্ট্রয়ার কিমের উপস্থিতিতে উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল। তবে অকস্মাৎ তলা খসে জাহাজটি ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে।
এই দুর্ঘটনাকে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বলে আখ্যায়িত করেছেন কিম। উদ্বোধনকালেই জাহাজের এই বেহাল অবস্থার কারণে দেশের গৌরব ও মর্যাদা এক মুহূর্তে ধুলিস্যাত হয়েছে মন্তব্য করে সর্বোচ্চ নেতা বলেছেন, জাহাজ নির্মাণে জড়িত সবাইকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে।
দুর্ঘটনায় কোনও মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের তথ্য রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে জানা যায়নি।
বৃহস্পতিবারের এই দুর্ঘটনাকে চূড়ান্ত অবহেলা, দায়িত্বজ্ঞানহীনতা এবং অবৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষণ দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা। আগামী জুনে পার্টি মিটিংয়ের আগে জাহাজ মেরামতের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। আর জানিয়েছেন, পরের মাসের একটি বৈঠকে দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জাহাজ দুর্ঘটনার কারণে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের শাস্তি কেমন হতে পারে, সেটা অবশ্য স্পষ্ট জানা যায়নি। তবে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার দাবি সত্য হলে, দেশটিতে চুল ছাটা থেকে শুরু করে দক্ষিণ কোরীয় সিনেমা দেখা- যেকোনও কিছুর জন্য কারাদণ্ড হতে পারে।
উল্লেখ্য, পিয়ংইয়ং সাধারণত তাদের অভ্যন্তরীণ ইস্যু ফলাও করে প্রচার করে না। তবে দুয়েকটি ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম দেখা গেছে। গত নভেম্বরে একটি সামরিক স্যাটেলাইট মাঝ আকাশে বিধ্বস্ত হয়ে যাওয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের তীব্র সমালোচনা করেন কিম। অবশ্য, ওই কর্মকর্তাদের ভাগ্যে পরে কী জুটেছে, তা জানা যায়নি।