আফগানিস্তানে ১০ মাইন অপসারণকর্মীকে গুলি করে হত্যা

আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় বাগলান প্রদেশে অন্তত দশ জন মাইন অপসারণ কর্মীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এসব কর্মীরা হ্যালো ট্রাস্ট নামে একটি সংস্থার হয়ে কাজ করতেন। সংস্থাটির কার্যালয় প্রাঙ্গণে চালানো হামলায় আরও বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছেন। হামলার জন্য তালেবানদের দায়ী করেছে আফগান কর্মকর্তারা। তবে সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জানিয়েছেন স্থানীয় তালেবান তাদের সহায়তায় এগিয়ে আসে আর হামলাকারীদের তাড়িয়ে দেয়। তালেবানদের তরফ থেকেও হামলার দায় অস্বীকার করা হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

গত ১ মে থেকে আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্র সেনা প্রত্যাহার শুরুর পর দেশটিতে সহিংসতা বেড়েছে। আফগান সরকার ও তালেবানদের মধ্যে শান্তি আলোচনার প্রেক্ষিতে সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বাগলান প্রদেশের কয়েকটি জেলায় তালেবান ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে তুমুল লড়াই হয়েছে।

মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে দশটার দিকে মুখোশ পরা বন্দুকধারীরা হ্যালো ট্রাস্টের কার্যালয়ের হামলা চালায়। মাইন অপসারণ কর্মীরা আশেপাশের এলাকার মাঠ থেকে মাইন অপসারণের কাজ শেষে ওই কার্যালয়ে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন।

আফগান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তারেক আরিয়ান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘একটি মাইন অপসারণ সংস্থার কার্যালয়ে তালেবানরা প্রবেশ করে আর সবাইকে গুলি করা শুরু করে।’ তাৎক্ষণিকভাবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে তালেবান। গোষ্ঠীটির মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ এক বিবৃতিতে জানান, ‘আমরা প্রতিরক্ষাবিহীন এই হামলার নিন্দা জানাই আর একে নৃশংসতা হিসেবে দেখি। এনজিওগুলোর সঙ্গে আমাদের স্বাভাবিক সম্পর্ক আছে। আমাদের মুজাহিদিনরা কখনওই এই ধরনের নৃশংস হামলা চালায় না।’

হ্যালো ট্রাস্টের সিইও জেমস কোয়ান জানান, হামলাকারীরা কর্মীদের খোঁজে প্রতিটি বিছানায় যায় আর ঠান্ডা মাথায় তাদের ওপর গুলি চালায়। স্থানীয় তালেবান তাদের সহায়তা করেছে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘আমরা জানি না কারা হামলা করেছে তবে কেবল ধারণা করতে পারি।’

সোভিয়েত দখলদারিত্ব অবসানের পর আফগানিস্তানে মাইন অপসারণ করতে ১৯৮৮ সালে গঠিত হয় হ্যালো ট্রাস্ট। এতে সহায়তা দিয়ে আসা ব্যক্তিদের তালিকায় ছিলেন প্রিন্সেস ডায়ানাও। তার ছেলে প্রিন্স হ্যারিও এতে সহায়তা দিয়ে থাকেন।