আফগানিস্তান নিয়ে গৃহযুদ্ধের সতর্কবার্তা ইমরান খানের

কোন ধরনের রাজনৈতিক সমাধান বা শান্তি চুক্তি না হলে আফগানিস্তানে গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা করছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তনের ভ্যবিষৎ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে ইমরান বলেন, মার্কিন সেনারা কাবুল ছেড়ে যাওয়ার আগে যুক্তরাষ্ট্রকে রাজনৈতিক সমাধানের পথ বের করা উচিত।

আগামী ১১ সেপ্টেম্বর বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে আফগানিস্তান ছেড়ে যাচ্ছে মার্কিন সেনারা। কিন্তু দেশটিতে তালেবান গোষ্ঠী ও সরকারি দলের মধ্যে সংঘাত এখনও অব্যাহত। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই পর্যাক্রমে আফগানিস্তান ছাড়ছে মার্কিন সৈন্যরা। কিন্তু কোন রাজনৈতিক সমাধান না করেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নিজ দেশের সেনাদের তুলে নিচ্ছেন। এ নিয়ে আফগান সীমান্ত সংলগ্ন দেশ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী উদ্বেগ জানিয়েছেন।

তার মতে, সংঘাত কবলিত আফগানিস্তানে শান্তি চুক্তি ছাড়া মার্কিন সেনা তুলে নেওয়ার সময় এখনও হয়নি। রবিবার (২০ জুন) মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিয়াসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী ইমরান বলেন, ‘আমেরিকার সৈন্যদের প্রত্যাহারের আগে কার্যকর সমাধানে পৌঁছানো উচিত। রাজনৈতিক সমাধান বলতে এক ধরনের জোট সরকার গঠন করতে হবে। সেখানে তালেবান এবং সরকারের পক্ষ থাকবে। এর বাইরে অন্য কোন উপায় নেই’।

২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্র এবং তালেবান গোষ্ঠীর মধ্যে শান্তি চুক্তি হয়। ঐ চুক্তির অংশ হিসেবেই সেনা প্রত্যাহার চলছে। চুক্তিতে বলা হয়েছিল, বিদেশি সেনা সরানোর বিনিময়ে আফগানিস্তানকে সন্ত্রাসী ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার বা দেশটিতে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাবে না তালেবান। কিন্তু এখনও আফগানিস্তানজুড়ে হামলা অব্যাহত।

রাজনৈতিক সমাধান না দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তান ছেড়ে গেলে গৃহযুদ্ধের প্রবল আশঙ্কা রয়েছে বলেও বিশ্বকে সতর্ক করেছে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। ‘তালেবানরা যদি সর্বাত্মক বিজয় অর্জন করতে পারে, তবে দেশটিতে রক্তপাত বয়ে যাবে। আর আফগানিস্তানের পর যে দেশটিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে চলেছে তা হলো প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান’।

তিনি বলেন, এখনও ইসলামাবাদ কয়েক লাখ আফগান শরণার্থীর ভরণ-পোষণ দিয়ে যাচ্ছে। এই যুদ্ধে আমরা যে কারো থেকে বেশি ত্যাগ শিকার করেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন আমরা শুধু শান্তি চাই, কোনো সঙ্ঘাতে সম্পৃক্ত হতে চাই না। ‘মার্কিনীদের আফগানিস্তান ছেড়ে যাওয়ার আগে অবশ্যই দেশটিতে রাজনৈতিক সমাধান দিয়ে যেতে হবে’।