‘এক চীন’ নীতি থেকে সরে এলো জাপান

প্রথমবারের মতো চীনের মানচিত্র থেকে তাইওয়ানকে বাদ দিয়েছে জাপান। এই সপ্তাহে প্রকাশিত জাপানের প্রতিরক্ষার শ্বেতপত্রে মানচিত্রটি প্রকাশিত হয়েছে। যা জাপানের এক চীন নীতি থেকে সরে আসার ইঙ্গিত। শ্বেতপত্রে জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ অঞ্চলে চীনের হুমকির বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, বিশেষ করে দক্ষিণ চীন সাগর ও প্রশান্তীয় অঞ্চলে।

জাপানি শ্বেতপত্রে অতীতের সংস্করণগুলোতে তাইওয়ানকে চীনের ভূখণ্ড হিসেবে দেখানো হয়েছে। কিন্তু এবার প্রথমবারের মতো তাইওয়ান ও চীনের সীমান্ত আলাদা করা হয়েছে, যা জাপানের নীতির পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়।

তাইওয়ানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জাপানের শ্বেতপত্রে এই পরিবর্তনকে স্বাগত জানিয়েছে।

জাপানের প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বিভিন্ন সময় বলেছেন, তাইওয়ানের সঙ্গে চীনের উত্তেজনা আঞ্চলিক শান্তির জন্য হুমকি। চীন যদি সামরিকভাবে তাইওয়ানকে আক্রমণ করে তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে জাপানও হস্তক্ষেপে বাধ্য হতে পারে।

এই শ্বেতপত্রের প্রতিক্রিয়ায় চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান জানান, চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেছে জাপান। ভিত্তিহীনভাবে চীনের স্বাভাবিক প্রতিরক্ষা নির্মাণকাজ ও সামরিক কর্মকাণ্ডকে অভিযুক্ত করেছে।

উল্লেখ্য, বস্তুত তাইওয়ানকে ‘অখণ্ড’ চীনের অংশ মনে করার নীতিই ‘এক চীন’ নীতি। ১৯৭২ সালে চীনের চেয়ারম্যান মাও সে-তুং এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের মধ্যে ‘এক চীন’ নীতির প্রতি মার্কিন সমর্থনের ব্যাপারে ঐকমত্য হয়। জাপানও এতদিন এই নীতি সমর্থন করে আসছিল। সূত্র: আইএএনএস