তিব্বতি বৌদ্ধদের আধ্যাত্মিক নেতা দালাইলামা শিগগিরই ৯০ বছরে পদার্পণ করতে যাচ্ছেন। জন্মদিনের প্রাক্কালে চলতি সপ্তাহে বৌদ্ধ ধর্মগুরুদের তিনদিনের সমাবেশ ডেকেছেন তিনি। এ সভায় উত্তরাধিকারের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তিনি জানাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সেটা সত্যি হলে, চীনের নাখোশ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
চীনের দৃষ্টিতে দালাইলামা একজন বিচ্ছিন্নতাবাদী। ১৯৫৯ সালে তিব্বতে ব্যর্থ বিদ্রোহের পর তিনি ভারতে আশ্রয় নেন।
বেইজিংয়ের দাবি, দালাইলামার উত্তরসূরি নির্বাচনের অধিকার শুধু তাদের। তবে বেইজিংয়ের পছন্দকৃত ব্যক্তিকে পরিত্যাগ করতে ভক্তদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে দালাই লামা বলে আসছেন, তার উত্তরসূরি চীনের বাইরে জন্ম নেবে।
চলতি বছরের মার্চে চীন বলেছে, দালাইলামার তিব্বতিদের প্রতিনিধিত্ব করার অধিকার নেই। কারণ তিনি একজন রাজনৈতিক নির্বাসিত ব্যক্তি।
চীন আরও বলেছে, যদি দালাইলামা তিব্বত ও তাইওয়ানকে চীনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দেন, তবে তার ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে। তবে বেইজিংয়ের দাবিকে প্রত্যাখ্যান করেছে তিব্বতের প্রবাসী সরকার।
তিব্বতিদের বিশ্বাস অনুযায়ী, বোধিপ্রাপ্ত সন্ন্যাসীরা মৃত্যুর পর পুনর্জন্মের মাধ্যমে নিজেদের আধ্যাত্মিক ধারা অব্যাহত রাখেন। দালাইলামা আগে বলেছিলেন, তার পুনর্জন্ম হতে পারে ভারতে।
দেশটির ধর্মশালায় দীর্ঘদিন ধরে বাস করছেন তিনি। মাত্র দুই বছর বয়সে পূর্বসূরির পুনর্জন্ম হিসেবে তাকে নির্বাচিত করা হয়।
তিব্বত সরকারের প্রবাসী পার্লামেন্টের ডেপুটি স্পিকার দোলমা ছেড়িং তাইখাং বলেন, দালাইলামার পুনর্জন্ম শুধু তিব্বতের সংস্কৃতি, ধর্ম ও জাতিসত্তার টিকে থাকার জন্য নয়, বরং গোটা মানবজাতির কল্যাণের জন্য প্রয়োজন।
তিব্বতের প্রধান জ্যোতিষ থুপতেন নগদুপ বলেন, সাধারণত জীবিত কোনও সন্ন্যাসীর পুনর্জন্ম নিয়ে আলোচনা হয় না। কিন্তু এখন পরিস্থিতি ব্যতিক্রম, কারণ চীনা সরকার দালাইলামার বিষয়ে সরাসরি হস্তক্ষেপ করছে।