আগামী ৬ মাসে আফগান নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে: ঘানি

তালেবান যোদ্ধা এবং আফগান কমান্ডোর মধ্যে দেশটির তিনটি প্রদেশে থেমে থেমে তুমুল সংঘর্ষ চলছে। এরমধ্যে দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশের পরিস্থিতি খুবই ‘জটিল’ রূপ নিয়েছে, এমন উৎকণ্ঠার খবর দিলো কাবুল। এদিকে, সশস্ত্র তালেবান গোষ্ঠীর উত্থান ঠেকাতে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি। 

তালেবানের সঙ্গে গত কয়েক দিন ধরে কান্দাহার, হেরাত ও লস্করগাহে কঠিন লড়াই চলছে আফগান বাহিনীর। তাদের অগ্রযাত্রা ঠেকাতে কমান্ডোর বিশেষ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সোমবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, হেলমেন্দ প্রদেশের লস্করগাহ শহরে মার্কিন বিমান হামলায় সাত তালেবান যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

আল-জাজিরার সাংবাদিক জেমস বেস রাজধানী কাবুল থেকে জানিয়েছেন, নানগরহার প্রদেশে সংঘর্ষের তীব্রতা বাড়ছে। তালেবানের দাবি, তাদের হামলায় ১০ সেনা ও পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। এই ১৪ জন নিহতের কথা অস্বীকার করে আফগান সরকার বলছে, তিন নিরাপত্তা সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন।

দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার পার্লামেন্টের সামনে সাংবাদিকদের কিছু প্রশ্নের জবাব দেন প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি। সংকটের জন্য ওয়াশিংটনকেই দায়ী করেন তিনি। বলেন, ‘আফগান থেকে ন্যাটো ও মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ফলেই আজকের এই পরিস্থিতি।

তালেবানের বিপজ্জনক উত্থান ঠেকাতে ৬ মাস সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ঘানি। এতে যুক্তরাষ্ট্র আমাদের পাশে থাকার ও পূর্ণ সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে’।

তবে কৌশলগত কারণে নিরাপত্তা পরিকল্পনা প্রকাশ করতে রাজি হননি তিনি। তালেবানের বিরুদ্ধে ঘানির নতুন কৌশলকে স্বাগত জানিয়েছে দেশটির উচ্চ এবং নিম্নকক্ষের আইনপ্রণেতারা। এছাড়া সব সময় আফগান জাতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর পাশে আছেন বলেও বিবৃতিতে জানান তারা।