তাইওয়ানে অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন যুক্তরাষ্ট্রের

তাইওয়ানে অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। অঞ্চলটির ওপর চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক চাপের মধ্যেই বুধবার এই অনুমোদন দিলো বাইডেন প্রশাসন।

বাইডেন প্রশাসন জানিয়েছে, স্বচালিত হাউইটজারসহ সংশ্লিষ্ট সরঞ্জাম অন্তর্ভুক্ত করে ৭৫ কোটি ডলারের সমপরিমাণ চুক্তির বিষয়টি কংগ্রেসকে অবহিত করা হয়েছে।

তাইওয়ান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্টের মেয়াদে তাইওয়ানে অস্ত্র বিক্রির ঘোষণা এটিই প্রথম। এর আগে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনও তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রির সিদ্ধান্তের মাধ্যমে চীনের ওপর কঠোর চাপ তৈরির প্রয়াস চালায়।

চীন-তাইওয়ান বিরোধের সূত্রপাত ১৯২৭ সালে। ওই সময়ে চীনজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে গৃহযুদ্ধ। ১৯৪৯ সালে মাও সেতুংয়ের নেতৃত্বাধীন কমিউনিস্ট বিপ্লবীরা জাতীয়তাবাদী সরকারকে উৎখাতের মধ্য দিয়ে এ গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটায়। জাতীয়তাবাদী নেতারা পালিয়ে তাইওয়ান যান। এখনও তারাই তাইওয়ান নিয়ন্ত্রণ করে। প্রাথমিকভাবে ওই সময় যুদ্ধ বন্ধ হয়ে পড়লেও উভয় দেশই নিজেদের চীনের দাবিদার হিসেবে উত্থাপন শুরু করে। তাইওয়ানভিত্তিক সরকার দাবি করে, চীন কমিউনিস্ট বিপ্লবীদের দ্বারা অবৈধভাবে দখল হয়েছে। আর বেইজিংভিত্তিক চীন সরকার তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্নতাকামী প্রদেশ হিসেবে বিবেচনা করে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অঞ্চলটিতে উত্তেজনা বেড়েছে এবং দ্বীপটিকে আবারও নিয়ন্ত্রণে পেতে শক্তি ব্যবহারের হুঁশিয়ারিও দিয়েছে চীন। যদিও হাতে গোনা কয়েকটি দেশ তাইওয়ানকে স্বীকৃতি দিয়েছে, তবে এর গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের অনেক দেশের সঙ্গেই দৃঢ় বাণিজ্যিক ও অনানুষ্ঠানিক সম্পর্ক রয়েছে। মার্কিন সামরিক বাহিনী তাদের যুদ্ধজাহাজ নিয়ে মাঝে মধ্যেই তাইওয়ান প্রণালিতে মহড়া চালায়। এতে চীন বরাবরই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে আসছে। এরমধ্যেই বাইডেন প্রশাসনের তাইওয়ানে অস্ত্র বিক্রি অনুমোদনের ঘোষণা সঙ্গত কারণেই চীনকে আরও ক্ষিপ্ত করে তুলবে। সূত্র: এনএইচকে, বিবিসি।