করোনা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতায় থাইল্যান্ডে সরকারবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের হামলা

থাইল্যান্ডে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার অভিযোগে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে নেমেছে দেশটির জনগণ। রাজধানী ব্যাংককে হাজার হাজার মানুষ সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। উভয়পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

করোনার সংক্রমণে বিপর্যস্ত থাইল্যান্ড। গত মাস থেকেই করোনা প্রকোপের কারণে দেখা দিয়েছে অক্সিজেনের তীব্র সংকট। সেইসঙ্গে অতি সংক্রামক ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের থাবায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার বেড়েছে। টিকা দেওয়ার হারও খুবই কম। এমন অবস্থায় দেশটির অর্থনীতির উপরও পড়েছে প্রভাব। এজন্য সরকারকে দায়ী করে রাজপথে নেমেছে সাধারণ মানুষ।

শনিবার (৭ আগস্ট) রাজধানী ব্যাংককে এক হাজারেরও বেশি মানুষ জড়ো হয়ে সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়। বিক্ষুব্ধরা সরকারের ব্যর্থতার অভিযোগ এনে প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচা’র পদত্যাগের দাবি জানান। তারা প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাস ভবনের দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করলে বাধা দেয় নিরাপত্তা বাহিনী।

পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে মিছিলটি সামনে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করলে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। তাদের প্রতিহতে রাবার বুলেট ছোড়ে পুলিশ। এদিন শতাধিক পুলিশ সদস্যকে রাস্তা দেখা যায়। নিরাপত্তা সদস্যদের হামলার মুখে আন্দোলনকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে। তবে সামনে আবারও বড় ধরণের বিক্ষোভ হতে পারে।

এক আন্দোলনকারী জানান, সরকারের ভুল ভ্যাকসিন নীতির কারণে থাইল্যান্ডের জনগণকে ভুগতে হচ্ছে। সরকার অ্যাস্ট্রাজেনেকার এক কোটি ডোজের জন্য চুক্তি করেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত অর্ধেক টিকা পেয়েছে। চীন থেকে সিনোভ্যাক-এর ৬০ লাখ ডোজ টিকা দিয়েছে, কিন্তু একে যথেষ্ট নয় বলছেন অনেকে।

দেশটিতে শনিবার নতুন করে ২২ হাজার মানুষ কোভিডে শনাক্ত হয়েছেন। এদিন মারা গেছেন ২১২ জন। এ পর্যন্ত থাইল্যান্ডে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬ হাজার।