সবাইকে নিয়ে সরকার গঠন করতে চায় তালেবান

অংশগ্রহণমূলক তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের পরিকল্পনা নিচ্ছে কাবুল দখল করা তালেবান গোষ্ঠী। আর এজন্য আফগানিস্তানের সবাইকে নিয়েই নতুন সরকার গঠন করতে চায় তারা। তালেবানের একাধিক সূত্রে খবর প্রকাশ করেছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা

তালেবান বলছে, অংশগ্রহণমূলক সরকার গঠনের জন্য আফগানিস্তানের সব জাতিকেই অন্তর্ভুক্ত করা হবে। নতুন সরকারে কারা থাকছে তাদের নাম এখনও ঘোষণা না করলেও বেশ কয়েকজন পরিচিত মুখ থাকছে বলে আভাস পাওয়া গেছে। এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ কতদিন হবে সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি।

ইতোমধ্যে আফগানিস্তানে ফিরেছেন তালেবানের অনেক নেতা। তালেবানের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা বারাদার নতুন সরকারের প্রধান হতে পারেন বলে জোর গুঞ্জন রয়েছে। এদিকে ক্ষমতা দখলের দিনই বলে দিয়েছে তারা, ইসলামিক শরিয়াহ মোতাবেক আফগানিস্তান পরিচালনা হবে। এ নিয়ে অনেকটা আতঙ্ক বিরাজ করছে আফগান নাগরিকদের মধ্যে। কারণ শেষবার তালেবানের দেশ পরিচালনা ছিল প্রশ্নবিদ্ধ।

তালেবান সূত্রের বরাতে আল জাজিরা জানিয়েছে, আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তী সরকার হবে সব জাতি ও নৃগোষ্ঠির নেতাদের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে। চার কোটি মানুষের দেশ আফগানিস্তানে বহু জাতি ও নৃগোষ্ঠির বসবাস। এর মধ্যে পশতুন সম্প্রদায়ের লোকেরাই আফগান জনসংখ্যার মোট ৪২ শতাংশ। ফলে দেশটির রাজনীতিতে এই বৃহৎ গোষ্ঠীটির বড় অংশগ্রহণ আছে।

আল-জাজিরাকে এক সূত্র জানিয়েছে, ইসলামিক আমিরাত আফগানিস্তানের নেতৃত্ব দিতে নতুন সরকারের প্রধান থাকবেন একজন ‘আমির-উল মোমিনিন’।

এছাড়া একটি কাউন্সিল গঠিত হবে, যেখানে আগামীর সরকার এবং মন্ত্রীদের নির্বাচিত করতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। এছাড়াও বিচারিক, অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্র, বাণিজ্য, তথ্যসহ একাধিক মন্ত্রণালয় থাকছে।

নতুন সরকারে তাজিক এবং উজবেক জাতিগোষ্ঠীর নতুন মুখ চাইছে তালেবান। এদিকে সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই এবং আশরাফ গণি সরকারের আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহকে তালেবান সরকারে রাখতে যুক্তরাষ্ট্র অনুরোধ জানিয়েছে বলে দাবি করছে তালেবান।

তালেবান সরকারে নারীদের জন্য কাজের সুযোগ রয়েছে। নারীদের অধিকার নিয়েও কাজ করার আশ্বাস দিয়েছে গোষ্ঠীটি। কবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের রূপরেখা প্রকাশ করবে তা স্পষ্ট করেনি এখনও।