তালেবানকে সুযোগ দিতে পাকিস্তানের দূতিয়ালি

কাবুলের পতনের পর পাকিস্তান নীরবে গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক অংশীদারদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। এক্ষেত্রে ইসলামাবাদের বার্তা হলো আফগানিস্তানকে একা ছেড়ে দেওয়া উচিত হবে না। আর সেখানে আসন্ন তালেবান সরকারকে একটা সুযোগ দেওয়া উচিত।

এই বিষয়ে অবগত কর্মকর্তারা একপ্রেস ট্রিবিউনকে জানিয়েছেন, পাকিস্তানের নীতিনির্ধারকদের মধ্যে এমন বিবেচনা চলছে। তারা মনে করেন তালেবানকে আগেভাগে বিচার করে ফেলা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত হবে না।

সম্প্রতি তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান এবং ইরান সফরের সময় পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশি এই ধরনের বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন। আফগানিস্তানের ভবিষ্যত নিয়ে তিনি আরও কয়েকটি দেশ সফর করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তবে কর্মকর্তারা বলছেন, পাকিস্তান আফগানিস্তানের নতুন কাঠামোর পক্ষে দূতিয়ালি করলেও কাবুলে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠনে তালেবানকেও নিরুৎসাহিত করছে না। এখন পর্যন্ত তালেবানের তরফ থেকেও ইতিবাচক মনোভাবে দেখানো হয়েছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।

কাতারভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, কাবুলে একটি অন্তর্ভূক্তিমূলক কেয়ারটেকার সরকার গঠন নিয়ে কাজ করছে তালেবান। এই অন্তর্বর্তী সরকারে কেবল তালেবান নয় বরং বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী ও গ্রুপকেউ যুক্ত করার কথা ভাবা হচ্ছে।

পাকিস্তানের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, আমরাও আফগান তালেবান ঠিক একথাই বলছি। আর সেটা সম্ভব হবে কেবল যদি তারা (তালেবান) সব নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীকে যুক্ত করে।’

গত শনিবার এক বিবৃতিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশি বলেন, সামনে এগোনোর উপায় নিয়ে আফগান তালেবান নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখছে পাকিস্তান। তিনি জানান, তালেবান ইতিবাচক সংকেত দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘তারা যদি ইতিবাচক বার্তা দেয় তাহলে বিশ্ব অবশ্যই তাদের উৎসাহ দেবে।’

তালেবান কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্য কয়েকটি পশ্চিমা দেশ আফগানিস্তানের সব ধরনের আর্থিক সহায়তা বন্ধ করে দিয়েছে। এর কারণে দেশটির আসন্ন সরকার পরিচালনা করা মারাত্মক কঠিন হয়ে পড়বে।

তবে পাকিস্তান আশা করছে এই ব্যবস্থা হবে সাময়িক। আর প্রতিবেশি দেশটিতে একটি নতুন সরকার আকার নিয়ে ফেললে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তাদের নীতি পুনর্বিবেচনা করবে।