তালেবানের পক্ষে বিক্ষোভ করতে বাধ্য করা হচ্ছে আফগান নারীদের

তালেবানের পক্ষে বিক্ষোভ করতে বাধ্য করা হচ্ছে আফগান নারীদের

বিক্ষোভে বাধ্য হয়েছেন আফগান নারীরা

৯/১১ হামলার বার্ষিকীতে বোরকা পরে নারী শিক্ষার্থীদের কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে। এতে যোগ দিতে নারী শিক্ষার্থীদের বাধ্য করেছে তালেবান। শিক্ষার্থীরা বলছেন, যারা ওই বিক্ষোভে যোগ দেয়নি তাদের বহিষ্কার করা হবে।

কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত বিক্ষোভে নারী শিক্ষার্থীরা তালেবান এবং তাদের কট্টর ইসলামি মতাদর্শের সমর্থনে প্লাকার্ড বহন করে। অনেকেই নারী ও পুরুষদের আলাদা করে শিক্ষাদানের দাবি করেন।

তবে কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থী বলেন, ‘তালেবান চাপ দিয়ে আমাদের ইউনিভার্সিটি হলে এক ঘণ্টার জন্য তাদের সরবরাহ করা বোরকা পরে হাজির হতে বাধ্য করে, তারা আমাদের বলেছে হাজির না থাকলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হবে আর বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও জায়গাতেই যেতে দেওয়া হবে না।’

আফগানিস্তানের অন্তবর্তী তালেবান সরকারের নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে নারীরা ইসলামের নীতি অনুযায়ী কাজে যোগ দিতে পারবে। পুরুষদের চেয়ে পৃথকভাবে শিক্ষা নিতে পারলে বিশ্ববিদ্যালয়েও হাজির হতে পারবে নারীরা।

তালেবানের নতুন উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী আবদুল বাকি হাক্কানি বলেন, ‘সহ শিক্ষা ব্যবস্থার অবসান ঘটানোয় আমাদের কোনও সমস্যা হবে না। আমাদের জনগণ মুসলমান আর তারা এটা মেনে নেবে।’

এর আগে তালেবান মুখপাত্র সাইদন জিকরুল্লাহ হাশিমি আফগান সংবাদমাধ্যম টোলো নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, নারীরা মন্ত্রী হতে পারে না, তাদের সন্তান জন্ম দেওয়া উচিত।

ওই সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘এক জন নারী মন্ত্রী হতে পারে না। এটা এমন কিছু যে, তার গলায় এমনকিছু ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে কিন্তু তিনি ভার নিতে পারছেন না। মন্ত্রিসভায় নারীদের থাকার প্রয়োজন নেই তাদের উচিত সন্তান জন্ম দেওয়া। যেসব নারী বিক্ষোভ করছেন তারা সব নারীকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারে না।’