উ. কোরিয়ার হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র কি থামানো সম্ভব?

উত্তর কোরিয়া গত মঙ্গলবার যে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে তা সম্ভবত বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতির এবং সবচেয়ে নির্ভুলভাবে আঘাত হানতে সক্ষম। এই ক্ষেপণাস্ত্রে পারমাণবিক অস্ত্র সংযোজন করা যায় বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

উত্তর কোরিয়ার হাইপারসনিক হাসং-৮ ক্ষেপণাস্ত্রের সুনির্দিষ্ট বিবরণ এখনও জানা যায়নি। তবে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র তাত্ত্বিকভাবে শব্দের চেয়ে ২০গুণ বেশি জোরে ছুটতে পারে আর উড়ালের সময় এটি খুব কৌশলী। ফলে এটি ভূপাতিত করা প্রায় অসম্ভব বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ।

বিশ্লেষকরা বলছেন, উত্তর কোরিয়া সফলভাবে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি এবং মোতায়েন করতে পারলে এটা সফলভাবে এই অঞ্চলের সামরিক হিসেব বদলে দিতে পারে। সুইজারল্যান্ডের ওয়েবস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক এবং জাপানের মেইজি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক লিওনেল ফাট্টন বলেন, ‘সত্যি হলে, এর অর্থ হতে পারে দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অকার্যকর হয়ে পড়তে বসেছে।’

ওই প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাগুলো ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের বিরুদ্ধে কার্যকর। এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়ে উঁচু থেকে পড়তে থাকা ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে পারে।

সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ভিজিটিং সিনিয়র রিসার্চ ফেলো এবং সাবেক মার্কিন কর্মকর্তা ড্রু থম্পসন বলেন, একটি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র আধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাকে প্রতিহত করতে পারে আর এতে পারমাণবিক বিস্ফোরক যুক্ত করতে পারলে তো গেম চেঞ্জার হয়ে ওঠে। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, মনে রাখতে হবে এটা পারা আর পারতে চাওয়ার মধ্যে তফাত রয়েছে।

উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের তথ্য বিশ্লেষণ করে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী বলেছে, ক্ষেপণাস্ত্রটিকে খুবই প্রাথমিক পর্যায়ের বলে মনে হয়েছে। আর এটা মোতায়েনের আগে কিছুটা সময় লাগবে।