চীনা অর্থায়নে আফগান সীমান্তে ফাঁড়ি নির্মাণ করবে তাজিকিস্তান

তাজিকিস্তান পুলিশের স্পেশাল ফোর্স ইউনিটের জন্য আফগান-তাজিক সীমান্তে ফাঁড়ি নির্মাণে অর্থায়ন করবে চীন। বৃহস্পতিবার তাজিকিস্তানের পার্লামেন্টে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

ওই ফাঁড়ি স্থাপন করা হবে স্বায়ত্তশাসিত প্রদেশ গোরনো-বাদাখশানের পামির পার্বত্য এলাকায়। এই এলাকার সঙ্গে চীনের জিনজিয়াং সীমান্ত রয়েছে। এছাড়া আফগানিস্তানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় বাদাখশান প্রদেশের সীমান্ত রয়েছে সেখানে।

তাজিক পার্লামেন্টের মুখপাত্র জানিয়েছেন, নির্মাণ হতে যাওয়া ফাঁড়িতে কোনও চীনা সেনার উপস্থিতি থাকবে না। তাজিকিস্তান সরকার ও আফগানিস্তানের নতুন তালেবান শাসকদের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির মধ্যে ওই ফাঁড়ি নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তাজিক প্রেসিডেন্ট ইমোমালি রাখমোন তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। নতুন আফগান সরকারে আরও বেশি নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি রাখার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, আফগানিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী হলো তাজিক।

অন্যদিকে আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার বিষয়ে দুশানবেকে সতর্ক করে দিয়েছে কাবুল। রুশ সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, তালেবান কর্তৃপক্ষ আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলভিত্তিক একটি তাজিক সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে জোট গড়েছে। এই গোষ্ঠীটি তাজিক প্রেসিডেন্ট ইমোমালি রাখমোনের সরকারকে উৎখাত করতে চায়।

গত সপ্তাহে তাজিক-আফগান সীমান্তে রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন একটি নিরাপত্তা জোটের সামরিক মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই মহড়ার লক্ষ্য ছিল এটা দেখানো যে দক্ষিণ প্রান্ত দিয়ে দুশানবে আক্রান্ত হলে তাদের রক্ষায় প্রস্তুত রয়েছে রাশিয়া।

এদিকে তাজিকিস্তানের অন্যতম বড় বিনিয়োগকারী দেশ চীন। বেশ কয়েকবার দেশটিকে অনুদান দিয়েছে বেইজিং। তাজিকিস্তানের নতুন পার্লামেন্ট ভবন বিনামূল্যে নির্মাণ করে দিচ্ছে চীন।