‘মিয়ানমারে মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রমাণ মিলেছে’

মিয়ানমারে জান্তা সরকার ক্ষমতা দখলের পর দেশটিতে মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রমাণ মিলেছে। শুক্রবার এমন মন্তব্য করেছেন দেশটিতে গুরুতর অপরাধ তদন্তের দায়িত্বে থাকা জাতিসংঘ সংস্থার প্রধান নিকোলাস কৌমজিয়ান। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এপি।

নিকোলাস কৌমজিয়ান জানান, ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর হামলা ও নিপীড়নের শিকার হয়েছে বেসামরিক নাগরিকরা। এমন বহু ঘটনা ঘটেছে। প্রাথমিক তথ্য উপাত্তে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিষয়টি উঠে এসেছে।

তিনি বলেন, বিক্ষোভ দমনের জন্য নানা ধরনের অপকৌশলের আশ্রয় নিয়েছে সেনাবাহিনী। দৃশ্যত কেন্দ্রীয় নীতির অংশ হিসেবে এসব নিপীড়ন চালানো হয়েছে।

জাতিসংঘের এই তদন্তকারী বলেন, সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে এ পর্যন্ত দুই লাখেরও বেশি অভিযোগ পেয়েছেন তারা। সংগ্রহ করেছেন ১৫ লাখেরও বেশি তথ্য উপাত্ত। এখন এগুলো বিশ্লেষণের পালা।

নিকোলাস কৌমজিয়ান বলেন, যে ভয়াবহ আন্তর্জাতিক অপরাধ মিয়ানমারে সংঘটিত হয়েছে সেটিকে একদিন বিচারের আওতায় আনতেই এই তদন্তের উদ্যোগ।

তিনি বলেন, কোনও আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ ছাড়াই সাংবাদিক, চিকিৎসাকর্মী এবং রাজনৈতিকভাবে ভিন্ন মতাবলম্বীদের ধরপাকড়ের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হয়েছে।

এদিকে মিয়ানমারে চিন রাজ্যে দেশটির সেনাবাহিনীর ক্রমবর্ধমান সহিংসতা বন্ধে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক দাবি করেছে পাঁচ শতাধিক নাগরিক অধিকার সংগঠন। দীর্ঘদিন ধরেই এই রাজ্যের বেসামরিক মানুষের ওপর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে জান্তা সরকার।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) সহ ৫২১টি আন্তর্জাতিক এবং দেশীয় সংস্থার পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ভারতীয় সীমান্তবর্তী চিন রাজ্যে সামরিক বাহিনীর আগ্রাসন ছড়িয়ে পড়ার আগে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। নিরাপত্তা পরিষদ যেন এ ব্যাপারে উদ্যোগী হয়।