অরুণাচলে চীনের বিরুদ্ধে আবারও বসতি নির্মাণের অভিযোগ

বিতর্কিত অরুণাচল প্রদেশে চীনের বিরুদ্ধে ফের গ্রাম বানানোর অভিযোগ উঠেছে। এনডিটিভির প্রকাশিত স্যাটেলাইটের চিত্রে দেখা গেছে, অরুণাচলের ভেতরে ৬০টি পাকা বাড়ি বা ছিটমহল তৈরি করেছে চীন। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় নতুন করে বসতি নির্মাণ করায় দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির আশঙ্কা করা যাচ্ছে।

সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বৃহস্পতিবার তাদের খবরে জানিয়েছে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি) লঙ্ঘন করে অরুণাচলের ভেতরে গ্রাম বানিয়েছে বেইজিং। শি ইয়োমি জেলায় এলএসি-র প্রায় ছয় কিলোমিটারের ভেতরে ঢুকে ৬০টি ঘর তৈরি করেছে চীনা বাহিনী। সত্যতা প্রমাণে এ সংক্রান্ত উপগ্রহের ধারণকৃত ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে। ভারত বরাবরই এই এলাকাটিকে নিজেদের বলে দাবি করে আসছে।

এ বিষয়ে এনডিটিভি ভারতীয় এক জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে তিনি এমন অভিযোগ অস্বীকার করেন। এ কর্মকর্তার দাবি, যেখানে বসতি নির্মাণ করা হয়েছে এটি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা এলএসি’র উত্তরে, যা চীনা ভূখণ্ডের মধ্যেই পড়েছে। তবে ভারতের অভ্যন্তরে বেইজিং-এর বসতি নির্মাণ নিয়ে অরুণাচলের শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তাদের কাছ থেকে স্পষ্ট লিখিত জবাব চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী, উপ-মুখ্যমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এই প্রতিবেদন প্রকাশের আগ পর্যন্ত এনডিটিভি এর কোনও প্রতিক্রিয়া পায়নি।

এদিকে, ভারত সরকারের অনলাইন মানচিত্র পরিষেবা ভারতম্যাপে নতুন ছিটমহলের সঠিক অবস্থান স্পষ্ট। চীনের নতুন কার্যক্রম ভারতের ভেতরে বলে খবরে উল্লেখ করা হয়েছে। এ বিষয়ে ভারতীয় বিশেষজ্ঞ অরুপ দাশগুপ্তা বলেছেন, ভারতম্যাপেও আন্তর্জাতিক সীমানার ৭ কিলোমিটারের ভেতরে রয়েছে। স্ট্যাটেলাইটের ইমেজিং প্রযুক্তিতে তার অভিজ্ঞতা রয়েছে কয়েক দশকের।

ওই উপগ্রহ চিত্র ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তোলা। সেই সঙ্গে ২০১৯ সালের মার্চে তোলা ঠিক একই এলাকার একটি উপগ্রহ ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে। ২০১৯ সালের ছবিতে নদীর তীরে জনবসতির কোনও চিহ্ন নেই। কিন্তু দু’মাস আগের তোলা ছবিতে দেখা যাচ্ছে একাধিক ঘরবাড়ি।

স্যাটেলাইটের ধারণকৃত ছবি। (সংগৃহীত ছবি)

এর আগেও চীনা সেনার গ্রাম বানানোর উপগ্রহ ছবি প্রকাশ করা হয়েছিল। তাতে ধরা পড়েছিল ১০১টি বাড়ির অস্তিত্ব। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগনের বার্ষিক রিপোর্টেও ভারতীয় ভূখণ্ডে চীন গ্রাম নির্মাণের দাবি করা হয়।