উত্তরে পালানো ব্যক্তি ছিলেন পক্ষত্যাগকারী জিমন্যাস্ট: দ. কোরিয়া

সুরক্ষিত সীমান্ত পাড়ি দিয়ে উত্তর কোরিয়ায় পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করা গেছে বলে মনে করছে দক্ষিণ কোরিয়া। দেশটির সেনাবাহিনীর দাবি, ২০২০ সালে উত্তর কোরিয়া থেকে পালিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় ঢুকে পড়েন ওই ব্যক্তি। নিজেকে উত্তর কোরিয়ার একজন জিমন্যাস্ট দাবি করেছিলেন তিনি। নববর্ষের দিনে ফের উত্তর কোরিয়ায় পাড়ি জমান তিনি। তবে তার বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।

দুই দেশের মধ্যকার সুরক্ষিত সীমানা পেরিয়ে উত্তর কোরিয়ায় ঢুকে পড়েন দক্ষিণ কোরিয়ার একজন নাগরিক। বিরল এ পক্ষত্যাগের ঘটনা ঘটে ১ জানুয়ারি শনিবার রাতে। রয়টার্স এর খবরে বলা হয় শনিবার রাত ৯টা ২০ মিনিটের দিকে দুই কোরিয়াকে পৃথক করা ডিমিলিটারাইজড জোনের (ডিএমজেড) পূর্ব পাশে এক ব্যক্তির উপস্থিতি টের পায় দক্ষিণের সেনারা। এরপরই বিষয়টি নিয়ে তৎপর হয় তারা। রাত ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে তারা ওই ব্যক্তির সীমান্ত অতিক্রম করে উত্তর কোরিয়ায় চলে যাওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত হন।

সিসিটিভির ফুটেজের তথ্য উল্লেখ করে দক্ষিণ কোরিয়ার এক ঊচ্চ পদস্থ সামরিক কর্মকর্তা জানান, মনে হচ্ছে উত্তরে পালিয়ে যাওয়া এই ব্যক্তি ২০২০ সালের নভেম্বরে দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রবেশ করেন, একই পথ ধরে।

৩০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি দক্ষিণ কোরিয়ায় পরিচ্ছন্নতা কর্মী হিসেবে কাজ করতেন। ওই সময় তাকে আটক করা হলে তিনি বলেছিলেন, তিনি উত্তর কোরিয়ার জিমন্যাস্ট ছিলেন। তবে তার অন্য পরিচয় সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

ওই ব্যক্তি উত্তরে পালিয়ে যাওয়ার পর জীবিত আছেন কিনা তা এখনও জানা যায়নি। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাপ্রধান জানিয়েছেন তিনি ওই ব্যক্তির সুরক্ষা নিশ্চিত করতে উত্তর কোরিয়ায় বার্তা পাঠিয়েছেন।

উত্তর কোরিয়া ওই বার্তা পাওয়ার কথা স্বীকার করেছে। তবে ওই ব্যক্তির ভাগ্য বা ফিরে যাওয়ার উদ্দেশ্য সম্পর্কে কিছু জানায়নি। কিভাবে ওই ব্যক্তি পালিয়ে যেতে পারলেন তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।

কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলায় ২০২০ সাল থেকে সীমান্ত বন্ধ রেখেছে উত্তর কোরিয়া। ওই বছরের সেপ্টেম্বরে সমুদ্রে হারিয়ে যাওয়া দক্ষিণ কোরিয়ার একজন কর্মকর্তাকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে উত্তরের সেনারা। এ নিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে দেশটি দাবি করে, কোভিডের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর নীতির কারণেই ওই কর্মকর্তাকে গুলি করতে বাধ্য হয়েছিল তারা। যদিও শেষ পর্যন্ত ওই ঘটনায় ক্ষমা চায় দেশটি।

সূত্র: বিবিসি