ঋণ পরিশোধে চীনের কাছে আরও সময় চায় শ্রীলঙ্কা

অর্থনৈতিক সংকট ও ঋণের বোঝায় যখন নিমজ্জিত শ্রীলঙ্কা, তখন দেশটিতে সফরে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। এ অবস্থায় চীনের কাছ থেকে নেওয়া ঋণ পরিশোধে আরও সময় চেয়েছে শ্রীলঙ্কা। এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান। 

শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে বড় ঋণদাতা চীন। চীনের কাছে তাদের অপরিশোধিত ঋণের পরিমাণ অনেক বেশি। বেইজিং-এর কাছে কলম্বোর ৫০০ কোটি ডলার দেনা রয়েছে। গত বছর আরও ১০০ কোটি ডলার ঋণ নিয়েছে কলম্বো। আগামী ১২ মাসে সরকারি ও বেসরকারি খাতকে দেশি ও বিদেশি ঋণ শোধ করতে হবে ৭৩০ কোটি ডলার। এরমধ্যে জানুয়ারিতেই আন্তর্জাতিক বন্ডের জন্য ৫০ কোটি ডলার পরিশোধ করতে হবে। যদিও নভেম্বর পর্যন্ত দেশটির বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ ছিল মাত্র ১৬০ কোটি ডলার।

ঋণের ঝোঝায় শ্রীলঙ্কা যখন জর্জরিত, তখন দেশটিতে সফরে এসেছেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সাক্ষাৎ করেছেন লঙ্কা প্রেসিডেন্ট গোটাবাইয়া রাজাপাকসের সঙ্গে। বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট গোটাবাইয়া রাজাপাকসে ও প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দ রাজাপাকসের কার্যালয় জানিয়েছে, করোনা মহামারি পরবর্তী অর্থনৈতিক সংকট কারণে ঋণ পরিশোধে আরও সময় বাড়ানো হলে এটি বড় স্বস্তির কারণ হবে। এ বিষয়ে রাজধানী কলম্বোয় অবস্থিত চীনের দূতাবাস থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

দেউলিয়ার মুখোমুখি শ্রীলঙ্কার এ সংকটের জন্য করোনাভাইরাস মহামারি আংশিকভাবে দায়ী। পর্যটন খাতের লোকসানেরও ভূমিকা রয়েছে। বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস অনুসারে, মহামারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ৫ লাখ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে এসেছে সেখানে।