কাজাখস্তান ছাড়তে শুরু করেছে রুশ সেনা

রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন এক সামরিক জোটের সেনারা কাজাখস্তান ছাড়তে শুরু করেছে। সহিংস বিক্ষোভ ঠেকাতে কাজাখ প্রেসিডেন্টের অনুরোধে এসব সেনা দেশটিতে প্রবেশ করে। প্রায় এক সপ্তাহ অবস্থান শেষে বৃহস্পতিবার দেশটি ছাড়তে শুরু করেছে জোটের সেনারা।

জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত দেশ কাজাখস্তানে বিক্ষোভ শুরু হলে বেশ কয়েক জন সিনিয়র নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেন প্রেসিডেন্ট কাসিম জোমার্ট তোকায়েভ। এসব কর্মকর্তাদের পরে রাষ্ট্রদ্রোহীতায় অভিযুক্ত করা হয়।

সিনিয়র নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের বরখাস্তের পর রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন কালেক্টিভ সিকিউরিটি ট্রিটি অর্গানাইজেশনের (সিএসটিও) কাছে সেনা পাঠানোর অনুরোধ করেন প্রেসিডেন্ট তোকায়েভ।

কাজাখ কর্তৃপক্ষ বলছে, এই সপ্তাহে পরিস্থিতি স্থিতিশীল হয়ে আসছে। এছাড়া দেশের বেশিরভাগ স্থানে কথিত সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান শেষ হয়েছে বলেও দাবি তাদের।

বৃহস্পতিবার সিএসটিও সেনাদের বিদায় দিতে গিয়ে কাজাখ উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রী মুখমেদজান তালাসোভ বলেন, ‘আসার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ, কাজাখ সেনা এবং নিরাপত্তা বাহিনী দস্যুদের চিহ্নিত এবং আটকের প্রাথমিক কাজ চালিয়ে নিতে পারবে।’

বুধবার ওই জোটের পক্ষ থেকে বলা হয় কাজাখস্তান থেকে সব সেনা সরিয়ে নিতে দশ দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে শুরু হওয়া বিক্ষোভ প্রাথমিকভাবে শান্তিপূর্ণ ছিল। তবে কয়েকটি শহরে বিক্ষোভকারীরা নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা, এবং সরকারি ভবনে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পর তা সহিংস হয়ে ওঠে। সরকারি হিসেবেই দেশটিতে অন্তত ১৬৪ বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছে।

বিক্ষোভের ঘটনায় প্রায় ১০ হাজার মানুষকে আটক করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। তাদের দাবি হামলাকারীরা ছিল বিদেশে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।